পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে চারে অস্ট্রেলিয়া

অ্যাডাম জাম্পার স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত পাকিস্তানের ব্যাটাররা।‌ জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও এই স্পিনার চারটি মূল্যবান উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের স্বপ্ন ভঙ্গ করেছেন। ৬২ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। আর পাঁচে নেমে গেছে পাকিস্তান।

ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪৫ ওভার ৩ বলে ৩০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

ব্যাঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও মার্শ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৩ বলে ২৫৯ রান করেন তারা। দুর্দান্ত জুটি গড়ার পথে ওয়ার্নার-মার্শ দু’জনই সেঞ্চুরি করেছেন।

দু’টি সেঞ্চুরিই হয়েছে ৩১তম ওভারে। ওয়ানডেতে ২১তম সেঞ্চুরি করেন ৮৫ বল খেলা ওয়ার্নার। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি টানা চতুর্থ সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। আর ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন মিচেল মার্শ। এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইয়ে নাম উঠেছে ওয়ার্নার-মার্শের। চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির ঘটনা ঘটলো।

৩৪তম ওভারে মার্শকে আউট করে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১০টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১০৮ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১২১ রান করে আউট হন মার্শ। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুতই ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ০ ও স্টিভেন স্মিথ ৭ রানে আউট হয়েছেন। দলের রান ৩শ পার করে বিদায় নেন ওয়ার্নার। ১৪টি চার ও ৯টি ছক্কায় ১২৪ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

দলীয় ৩২৫ রানে ওয়ার্নার ফেরার পর অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেন পাকিস্তানের আফ্রিদি ও রউফ। শেষ ৪৬ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের আফ্রিদি ৫৪ রানে ৫টি ও রউফ ৮৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

অস্ট্রেলিয়ার বড় টার্গেটের জবাব ভালোই দিচ্ছিল পাকিস্তান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন পাকিস্তানের ইনিংসকে। হাফ সেঞ্চুরি করেন দু’জনই। তবে শফিক ৬৪ রানে আউট হলে ১৩৪ রানে ভাঙে তাদের জুটি। শফিক ফেরার পর ইমামও দ্রুত ফিরে গেছেন। দলীয় ১৫৪ রানে আউট হয়েছেন ইমাম। ৭০ রান করেছেন তিনি।

ফর্মে ফিরতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন অধিনায়ক বাবর আজম। আজও দলকে বিপদে রেখে ফিরে যান তিনি। ১৮ রান এসেছে বাবরের ব্যাট থেকে। এরপর বড় কোন জুটি গড়তে পারেনি পাক ব্যাটাররা। ৩০ রান করে আউট হয়েছেন সৌদ শাকিল। তবে পাকিস্তান বড় ধাক্কা খায় ইফতেখার আহমেদের আউটে। বেশ ভালো ব্যাট করছিলেন তিনি। কিন্তু ২০ বলে ২৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার এলবি’র শিকার হয়েছেন ইফতেখার। হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ৪৬ রানে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাকেও শিকার করেছেন অ্যাডাম জাম্পা। মূলত রিজওয়ানের আউটের পরেই পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। পরের দিকের ব্যাটাররা শুধু আসা-যাওয়ার মাঝে ছিলেন। ৪৫ ওভার ৩ বলে ৩০৫ রানে থেমেছে পাকিস্তানের ইনিংস।

Exit mobile version