নতুন অধিনায়ক, নতুন দল। তবুও নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারল না বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফরের আগে দুর্বল আর আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারল লিটন দাসের দল। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল ওয়াসিম খানের দল।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.১ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই ১৬৬ রান তোলে স্বাগতিকরা। এদিন শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াশিমকে হারায়। পেসার শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ৯ রান করে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ জোহাইব ও আলিসান শারাফু দারুণ জুটি গড়েন। অবশেষে দলীয় ৫৮ রানের মাথায় রিশাদ হোসে এ জুটি ভাঙেন। জোহাইব ২৯ রান করে বোল্ড। এরপরপেসার তানজিম সাকিব ১৩ রান করা রাহুলকে ফেরেন। ১০.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে আরব আমিরাতের দলীয় রান তখন ৭৯ রানে।
কিন্তু এরপর আরিসান আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন। আরিসান ৪৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় অপরাজিত ৬৮ রান করেন। এছাড়া আসিফ খান ২৬ বলে বিশাল ৫ ছক্কায় ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শারজায় সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া ইমন শুরুতেই ছক্কার আশায় শূন্য রানে বিদায় নেন। এরপর লিটন ১৪, হৃদয় শূন্য, ও শেখ মাহেদী ২ রান করে বিদায় নেন।
৬ ওভারে শেষে দলীয় ৫৭ রানে চার উইকেট হারায় তারা। এরপর ওপেনার তানজিদ তামিম ১৮ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ রান করে বিদায় নেন। এরপর দলীয় ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা। তবে দলের বিপদে একাই লড়াই করেন জাকের আলী। উইকেট কিপার এই ব্যাটার ৩৪ বলে এক বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৪১ রান করে বিদায় নেন।
তবে শেষ জুটিতে হাসান মাহমদু ও শরিফুল দারুণ ব্যাটিং উপহার দেন। হাসান ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ ও শরিফুল ইসলাম ৭ বলে একটি করে চার ও ছক্তায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে আরব আমিরাতের পক্ষে হায়দার আলী মাত্র ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে একাই নেন তিন উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৬২/৯
আরব আমিরাত ১৯.১ ওভারে ১৬৬/৩
আরব আমিরাত ৭ উইকেটে জয়ী
ফলাফল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় আবর আমিরাতের
