তরুণদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও অভিজ্ঞদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের সুপার এইট খেলেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নানা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তরুণ ক্রিকেটাররা। যেখানে সাকিব-রিয়াদদের পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে নজর কেড়েছেন রিদয়-তানজিম-রিশাদরা। যাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন রিশাদ হোসেন।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে সবাইকে অবাক করেছেন ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার রিশাদ। ১৪টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তো হয়েছেনই। সাথে জায়গা করে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও।
এই দলের নেতৃত্বে আছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তাঁর হাত ধরেই সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানিস্তান।
এবারের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় জাসপ্রিত বুমরাহ। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি না হলেও তিনি এত প্রভাব রেখেছেন যে, তাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অবধারিতভাবেই দলে জায়গা করে নিয়েছেন এই পেসার। তার সঙ্গী টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দুই উইকেটশিকারি ফজলহক ফারুকী ও আর্শদীপ সিং, দুজনই নিয়েছেন ১৭টি করে উইকেট। বুমরাহর শিকার ১৫টি।
সেরা একাদশে অলরাউন্ডার দুজন, হার্দিক পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টয়নিস। হার্দিক ফাইনালে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন হেইনরিখ ক্লাসেনের উইকেট নিয়ে। বিধ্বস্ত আইপিএল শেষে বিশ্বকাপজুড়েই ছন্দে ছিলেন হার্দিক। ১১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ১৪৪ রান।
ব্যাটার হিসেবে সেরা একাদশে রয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রিস্টান স্টাবস। ২৮১ রান নিয়ে গুরবাজ এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে এই তালিকায় জায়গা হয়নি ফাইনালের সেরা বিরাট কোহলি ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মার।