নেইমারের নাম শুনলেই এখন একটা শব্দ ঘুরে ফিরে আসে-ইনজুরি।

ছবি: কালেক্টেড

প্রতিভায় প্রশ্ন ছিল না কখনো। কিন্তু নেইমারের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ যেন হয়ে উঠেছে তার নিজের শরীর। বারবার ফিরেছেন, বারবার মুগ্ধ করেছেন, আবার ছিটকে পড়েছেন।আল হিলাল থেকে সান্তোসে ফিরে নিজের শিকড়ে ফেরার গল্পটা শুরু করেছিলেন নতুন আশায়। ভাবছিলেন, এখান থেকেই হয়তো শেষবারের মতো সব জবাব দেবেন মাঠে। কিন্তু শুরুটা হয়েছিল যেমন রোমাঞ্চকর, সান্তোসে ফেরা নেইমারের গল্পটা এখন অনেকটাই বিষণ্ণ।

চোট আর ফিটনেস সমস্যায় পুরো লিগে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে সান্তোসও খুব একটা জয়ের মুখ দেখছে না। ১৭ ম্যাচে মাত্র ৪ জয়, অবস্থান রেলেগেশনের জায়গায়। সেই সাথে সময়ও ফুরিয়ে যাচ্ছে।

আগস্ট মাসে সামনে আছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেগুলোতে ফল না এলে হয়তো আর রক্ষা নেই। প্রতিপক্ষদের তালিকায় আছে ক্রুজেইরার মতো শীর্ষ দলও। আর তার আগেই ঘটে গেল একটা নাটকীয় মুহূর্ত। সেটা যেন নেইমারের ক্যারিয়ারেরই প্রতিচ্ছবি।

২৪ জুলাই ইন্তারনাসিওনালের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় সান্তোস। শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ের এক শটে গোলপোস্টে আঘাত হানান নেইমার। বল রিবাউন্ড হয়ে গোলরক্ষকের হাতে ধরা পড়ে। তার দাবি ছিল বল লাইন পেরিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু রেফারি মানেননি।

সেই মুহূর্তে নেইমার কর্নার ফ্ল্যাগে লাথি মারেন, জার্সি খুলে উদযাপন শুরু করেন। কিন্তু রেফারি লুকাস পাওলো জানান-গোল হয়নি, খেলা চলবে। প্রতিক্রিয়ায় নেইমার ক্ষুব্ধ, মাঠেই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

ম্যাচ শেষে, হতাশায় মুষড়ে পড়া নেইমার এক দর্শকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘প্লানেতা দো ফুটবল’-এর ভাষ্য অনুযায়ী, নেইমার বলেন- ‘পারলে মাঠে আয়, না হলে চুপ থাক।’ সতীর্থ জোয়াও পাওলো এসে তাকে শান্ত করেন।

চোট-ফর্ম-বিতর্কের এই সমীকরণে নেইমার এখনও পর্যন্ত করেছেন ৭ ম্যাচে ১ গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল ৪টি, অ্যাসিস্ট ৩টি।

আগস্ট যেন হয়ে উঠেছে তার ক্যারিয়ারের আরেকটি ‘ডু অর ডাই’ অধ্যায়। এখন প্রশ্ন একটাই-এই অন্ধকার থেকে আবার আলোতে ফিরতে পারবেন তো নেইমার?

Exit mobile version