বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দশম আসরের লিগ পর্ব শেষ হবে আর মাত্র চার ম্যাচ বাদেই। ইতিমধ্যেই প্লে-অফে মুখোমুখি হতে যাওয়া চার দলের মধ্যে দুই দল নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি দুইটি স্থানের জন্য লড়াইয়ে আছে তিন দল। কারণ প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ে গেছে দুই দল।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক কোন দলের কী সমীকরণঃ
রংপুর রাইডার্সঃ
১১ ম্যাচের ৯ টায় জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রামে আজ রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করবে রংপুর।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসঃ
১০ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ইতিমধ্যেই প্লে-অফ খেলা নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল। যদি তাঁরা নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিততে পারে তবে তাঁরা খেলতে পারবে প্রথম কোয়ালিফায়ারও। অবশ্য নেট রানরেটে এগিয়ে থাকলেও প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সম্ভাবনা থাকবে তাঁদের।
ফরচুন বরিশালঃ
এখন পর্যন্ত খেলা ১১ ম্যাচের ৬টায় জিতেছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের চেয়ে নেট রেটের হিসেব অনেকটাই এগিয়ে থাকার সুবিধা পাবে তাঁরা। আজ যদি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস রাতের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে হারে এবং বরিশাল তাঁদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লাকে হারায় তবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে তামিমরা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ
বরিশালের মতো চট্টগ্রামও ১১ ম্যাচের ৬টায় জিতেছে। আজ খুলনা টাইগার্সকে হারাতে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত করবে তাঁরা। তবে যদি তাঁরা হেরে যায়, তাহলে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে খুলনা হারিয়ে দিলেই বিদায় নিবে শুভাগত হোমের দল।
খুলনা টাইগার্সঃ
১০ ম্যাচের ৫টায় জিতেছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনা টাইগার্স। প্লে-অফে উঠতে তাই নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে এনামুল হক বিজয়দের। এছাড়া নেট রান রেটে বরিশালকে পেছনে ফেলার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁদের।
সিলেট স্ট্রাইকার্সঃ
১১ ম্যাচের মাত্র ৪টিতে জিতে আগেই বাদ পড়ে গেছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে তাঁদের প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন ভাঙতে পারে দলটি।
দুর্দান্ত ঢাকাঃ
নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে আসরে দুর্দান্ত শুরু করেছিলো তাসকিন-শরিফুলের দুর্দান্ত ঢাকা। তবে রেকর্ড গড়ে পরের ১১ ম্যাচ হেরে তাঁদের বিপিএল শেষ হয়ে গেছে সবার আগে।