মাদক ও কর ফাঁকিতে জড়িত বিদেশি ফুটবলাররা!

বাংলাদেশে নিয়োজিত বিদেশি ফুটবলার ও কোচদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ বেড়েই চলেছে। দেশের আইনে বিদেশিদের আয়ের ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দীর্ঘদিন ধরে এসব নিয়ম উপেক্ষা করে আসছে।

সূত্র বলছে, গত ১৫ বছরে জাতীয় দলের মূল ও সহকারী বহু বিদেশি কোচ কাজ করেছেন, কিন্তু তাদের আয়ের বিপরীতে রাজস্ব বিভাগে কোনো কর জমা দেয়নি বাফুফে। সাবেক ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে এবং অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির মতো উচ্চবেতনভোগীদের ক্ষেত্রেও একই অনিয়ম ঘটেছে। স্মলির বেতন-ভাতা বাবদ তিন বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধ করা হলেও, তার আয়কর বাবদ প্রায় এক কোটি টাকা জমা পড়েনি।

বাফুফের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, বিদেশি কোচদের কর সংক্রান্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানান, বিষয়টি ফাইন্যান্স বিভাগ দেখে, ডকুমেন্ট তাদের কাছেই আছে।

এদিকে, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধে বিদেশি ফুটবলারদের জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। সিআইডির মানি লন্ডারিং শাখা একাধিক ফুটবলারকে মাদক সংশ্লিষ্টতায় আটক করেছিল। অভিজাত এলাকা ও ক্লাবে অভিযান চালিয়ে এমন বিদেশিদের আটক করা হলেও, পরিচয় জানার পর ছেড়ে দিতে হয়—ফুটবল ক্লাবগুলোর তদবিরে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশিদের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও আইন প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে, নইলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

Exit mobile version