আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঢাকায় হামজাদের ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বাফুফে সভাপতি বলেন,‘বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে থাকে। প্রথমবার ভুল-ত্রুটি হতে পারে। এটা স্বীকার করে নিয়েছি। দু’টি একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সাইবার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখব। ১০ জুন ম্যাচ এখনো অনেক সময় আছে। আমরা একটু সময় নিয়ে পুনরায় শুরু করছি। আশাবাদী আজ আবার রাত দশটা থেকে সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে সীমিত পরিসর হলেও।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে সাধারণ দর্শকদের গ্যালারীর আসন সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০০। এছাড়া ক্লাব হাউজ ও ভিআইপি মিলিয়ে আরো হাজার চারেক। মাত্র ২২ হাজার আসন ক্ষমতা স্টেডিয়ামে চাহিদা অসীম। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতির বক্তব্য, ‘স্টেডিয়াম গ্যালারী ১৮ হাজার এর বাইরে হাজার দু’য়েক। দুভার্গ্যজনক হলেও বাস্তবতা অনেক সমর্থকই সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়াম বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করব। বাফুফের পক্ষ থেকে আটটি বিভাগীয় শহরে ফ্যান জোন করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও করছে।’
একই সাথে হামজা চৌধুরি আসার পর বাংলাদেশের ফুটবলের উন্মাদনা অনেক উপরে। হঠাৎ ফুটবল উন্মাদনা হলেও বাফুফে সভাপতি তাবিথ এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ফলই মন করছেন, ‘বাফুফে ফুটবল নিয়ে ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় পুরুষ দলের পাশাপাশি নারী , কোচিং, রেফারি , ট্যাকিনক্যাল সব বিভাগেই আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
এশিয়া কাপ বাছাইয়ে প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন মূল পর্বে খেলতে পারবে। যেখানে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং চার দলেরই সমান এক পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধানও শূন্য। তাই ১০ জুনের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাফুফে সভাপতি,‘ আমি আশাবাদী এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের গ্রুপটি বেশ টাফেস্ট। প্রতি দলেরই এক পয়েন্ট ও গোলও শূন্য। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর টেবিলের অবস্থান নিশ্চয়ই বদলাবে। আমি সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।’
