অবশেষে পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের ছক্কা

দলে আছে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের সেরা ব্যাটার বাবর আজম। ছিলেন হার্ড হিটার ব্যাটার ফখর জামান। কিন্তু বিশ্বকাপ ম্যাচগুলোতে পাকিস্তান ব্যাটারদের অবস্থা বেশ নাজুক। পাওয়ার প্লেতে তারা তেমন একটা সুবিধা করতে পারছে না।

ওয়ানডে ক্রিকেটে পাওয়ার প্লের সময় বৃত্তের বাইরে মাত্র দুইজন ফিল্ডার থাকে। ফলে একজন ব্যাটারের জন্য বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু পাকিস্তানী ব্যাটাররা বিশ্বকাপে এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারছেই না। ওভার বাউন্ডারি মেরে দ্রুত যে রান বাড়িয়ে নিতে হবে সে বিষয়টা যেনো তারা ভুলে গেছে। গত চার ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তারা কোনো ওভার বাউন্ডারি মারতে পারেনি। আজ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে পাকিস্তানের ব্যাটাররা পাওয়ার প্লেতে ওভার বাউন্ডারি মারার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এ বছর ১১৬৯ তম বলে পাকিস্তান পাওয়ার প্লেতে প্রথম ওভার বাউন্ডারি মেরেছে। অথচ এ সময় ভারত ৪৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া মেরছে ৪৮ টি। বাংলাদেশও কম যায়নি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ১০টি ওভার বাউন্ডারি মরেছে।

আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট হাতে নেমে পঞ্চম ওভারে ওভার বাউন্ডারির দেখা পায় পাকিস্তান। এর আগে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ইমাম উল হকের সঙ্গে আবদুল্লাহ শফিক ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন। নাভিন উল হকের করা পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান আবদুল্লাহ শফিক।

শফিক ও ইমাম উল হকের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তোলে। বিনা উইকেটে ৫৬ রান করে। পাওয়ার প্লেতে তাদের সর্বোচ্চ রান ৫৯। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিল এই রান। ভারতের বিপক্ষে করেছিল ৪৯। তবে এক উইকেট হারিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৪৮ রান। আর নেদোরল্যান্ডের বিপক্ষে অবস্থা ছিল সবচেয়ে নাজুক। ৪৩ রান করতেই হারিয়েছিল ৩ উইকেট।

Exit mobile version