অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের পরাজয়ে বিশ্বকাপ শেষ করলো বাংলাদেশ দল। ভারত বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে দুই জয় ও সাত পরাজয় সঙ্গী হলো সাকিব, মুশফিকদের। পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে এখন বাংলাদেশ। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় শ্রীলংকা নবম স্থানে। নেদারল্যান্ডস তাদের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হারলে সেরা আটে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারবে বাংলাদেশ দল।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে ওপেনিং জুটি। তামিম ইকবালের অভাব হারে হারে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা প্রভাব পড়েছে দলের ব্যাটিংয়ে। তবে আজ ওপেনিং জুটি ৫০ রান পার করেছে। এবারের বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে মাত্র দু’বার বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি হাফ সেঞ্চুরি করলো। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি কোন রান করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন রান করার আগেই ভেঙেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এছাড়া আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯ রান, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০ রান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রান আসে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে।
আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটি থেকেই সর্বোচ্চ রান এসেছে বাংলাদেশের। ৬৯ বলে ৭৬ রান করেন লিটন ও তানজিদ। তানজিদ ও লিটন দু’জনই ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই আজ কম বেশি রান পেয়েছেন।
ইনজুরির কারণে সাকিব নেই। তাই এ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। এছাড়া মাহমুদুল্লাহ ৩২, মুশফিক ২১ ও মেহেদী মিরাজ ২৯ রান করেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিটি তৌহিদ হৃদয়ের। ৭৯ বলে ৭৪ রান করেছেন হৃদয়। শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাটাররা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেনি। যা বড় দুর্বলতা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। স্কোরবোর্ডে অনন্ত ৩৩০ রান জমা করতে পারতো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩০৬ রান করে টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার সিন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও এ ম্যাচে কোন সমস্যায় পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শের সেঞ্চুরি একই সাথে ঝড়ো ব্যাটিংয় জয় সহজ করে দিয়েছে অজিদের। যদিও দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ।
দ্রুত সাফল্য পেলেও পরের সময়টা হতাশায় কেটেছে বাংলাদেশের বোলারদের। দুটি শতরানের পার্টনারশিপে আরামেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ ১১৬ বলে ১২০ রান করেন। ৫৩ রান করে আউট হয়েছেন ওয়ার্নার। এরপর মিচেল মার্শ আরেকটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে। ১৩৫ বলে ১৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।
স্মিথ ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আর সেঞ্চুরি করার পর ইনিংসকে আরও লম্বা করেছেন মিচেল মার্শ। ১৩২ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৭টি চার ও ৯টি ছয় ছিল তার ইনিংসে। ৪৪ ওভার ৪ বলে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।