সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা ধরে রাখার ম্যাচে দারুণ ব্যাংটিং করেছে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে তারা ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করেছে। ইব্রাহিম জারদারের সেঞ্চুরি (১২৯*) এবং রশিদ খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের এই সংগ্রহ।
জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত। অন্যদিকে আফগানিস্তানের জয়ের অর্থ তাদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা তৈরি। এমন ম্যাচে ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস জয়ের পর আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রহমতউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে ইব্রাহিম জাদরানের শুরুটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। মাত্র ৩৮ রানে এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরান জশ হ্যাজেলউড। তবে রহমত শাহের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।
রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরান দ্বিতীয় উইকেটে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। রহমত শাহ অনেকটা দর্শক হয়ে ছিলেন। অন্যদিকে জাদরান ব্যাটিং তাণ্ডব করেন। তাইতো ৮৩ রানের জুটিতে রহমত শাহের রান মাত্র ৩০।
ইব্রাহিম জাদরান বেশ কয়েকটি জুটি গড়েছেন। অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শহীদি (২৬), আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (২২) ও মোহাম্মদ নবীর (১২) সঙ্গে দারুণ সব জুটি করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন রশিদ খান। এ সময়ে ৪.৩ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান যোগ হয়। মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রান করেন রশিদ খান। আর ইব্রাহিম জাদরান ১৪৩ বলে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আট বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারিতে তিনি এই রান করেন। অন্যদিকে রশিদ খান দুইবার মাটি কামড়ে এবং তিনবার বাতাসে ভাসিয়ে বলকে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার জশ হ্যাজেলউড। ৯ ওভারে ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা একটি করে উইকেট নেন। এই এক উইকেটে জাম্পার উইকেট সংখ্যা দাঁড়ালো বিশে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের তালিকায় এখন তিনি দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশাঙ্কা। তার শিকার সংখ্যা ২১।