অবশেষে জয়ের দেখা পেলো শ্রীলঙ্কা

সাদিরা সামারাবিক্রমার ব্যাটে এসেছে ৯১ রানের ইনিংস।

অবশেষে জয়ের দেখা পেলো শ্রীলঙ্কা। এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যেক দলই অন্তত একটা করে জয়ের দেখা আগেই পেয়েছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে এটি অধরা ছিল। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ৫ উইেকেটে। ৪৯.৪ ওভারে সব উইকেটে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের করা ২৬২ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৭.৪  ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।

এ জয়ের মাঝ দিয়ে শেষ দল হিসেবে শ্রীলঙ্কা পয়েন্টের খাতা খুলেছে। চার ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ২। বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানের পয়েন্টও ২। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে ইংল্যান্ডও।

সকালে টস জয়ের পর, আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু শুরুটা ভালো ছিল না। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। দুই পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা ও কাসুন রাজিথার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অস্বস্তিতে পড়েন ডাচ ব্যাটাররা।

মাত্র ৯১ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। দ্রুত ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ডাচরা। আউট হওয়া ৬ ব্যাটারের তিনজন দুই অঙ্কের রানে পৌঁছাতে পারেনি। তবে সপ্তম উইকেটে সাইব্রান্ড এঞ্জেলব্রেখট ও লগান ভ্যান বিক সব শঙ্কা উড়িয়ে দেয়। তারা লঙ্কান বোলারদের সামাল দিয়ে বিপর্যয় এড়ানোর পাশাপাশি দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নেন। ১৩০ রানের পার্টনারশিপ তাদের। এঞ্জেলব্রেখট ৮২ বলে ৭০ রান করেন। অন্যদিকে বিকের সংগ্রহ ছিল ৭৫ বলে ৫৯ রান।

দিলশান মাদুশাঙ্কা ও কাসুন রাজিথা উভয়ে চারটি করে উইকেট পান।

চ্যালেঞ্জিং এই স্কোরের জবাবের শুরুতে শ্রীলঙ্কার অবস্থা যা হয়েছিল তাতে অনেকেই হয়তো শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ৫২ রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন কুশাল পেরেরা ও অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস।

দুই কুশলের বিদায়ের পর শুরু হয় শ্রীলঙ্কার মূল লড়াই। এ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও মিডল অর্ডার ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৫২ বলে ৫৪ রান করেন নিশাঙ্কা। আর ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন সাদিরা। চারিথা আশালাঙ্কার (৪৪) সঙ্গে সাদিরা একটা বড় পার্টনারশিপ গড়েন। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার (৩০) সঙ্গেও সাদিরা পার্টনারশিপটা যথেষ্ঠ বড় ছিল।

আরয়ান দত্ত ছিল নেদারল্যান্ডসের সফল বোলার। ৩ উইকেট নেন তিনি।

Exit mobile version