যে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে ছিল এত উত্তেজনা পাকিস্তানের সাদামাটা পারফরম্যান্সে পানসে একটা ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। বিশ্বকাপের ম্যাচে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেনি পাকিস্তান। ভারত জয় পেয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
প্রথমে ব্যাট করে ৪২ ওভার ৫ বলে ১৯১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। বাবর আজমরা শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে ৩৬ রানে। জবাবে রোহিত শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছোট টার্গেটে খুব সহজেই পৌঁছেছে ভারত। ১১৭ বল হাতে রেখে খেলা শেষ করে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। ৬৩ বলে ৮৬ রান করেন রোহিত শর্মা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত। শুরুটা ভালোই ছিল পাকিস্তানের। রানের চাকা সচল রাখেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক। তবে শফিক ২০ রানে আউট হলে ৪১ রানে ভাঙে এই জুটি।
আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার ইমাম উল হক করেছেন ৩৬ রান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ভালো একটা জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। দেখেশুনে ব্যাট করছিলেন তারা। কিন্তু ৫০ রান করে বাবর আজম আউট হলে তাদের জুটি থামে ৮২ রানে।
বাবর ফিরে যাওয়ার পর ছন্দপতন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। যা চরম বিপর্যয়ে রূপ নেয়। অস্থির প্রকৃতির পরিচয় দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দ্রুত ফিরে যেতে পারলেই যেন বাঁচে তারা। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ৩৬ রান তুলতেই শেষ ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রথম চার ব্যাটারের পর একমাত্র হাসান আলী ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেন নি। হাসান আলী করেন ১২ রান। রিজওয়ান আউট হয়েছেন ৪৯ রানে। ৪৩ বল আগেই অলআউট হয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের ছয়জন বোলার আজ বল করেছেন। একমাত্র শারদুল ঠাকুর ছাড়া বাকি পাঁচ বোলারই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের জন্য ১৯২ রানের টার্গেট কঠিন কিছু না। হয়েছে ঠিক তাই। যদিও দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১৬ রান করার পর শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে সাদাব খানের হাতে ক্যাচ দেন শুভমান গিল। বিরাট কোহলি যখন আউট হয়েছেন তখন ভারত একটা অবস্থানে চলে যায়। দলীয় ৭৯ রানে আউট হয়েছেন বিরাট কোহলি। ১৬ রান করেছেন তিনি।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্যাটিং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন এই ম্যাচেও। দ্রুত রান তুলে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ভারতের অধিনায়ক। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন শ্রেয়াস আয়ার। যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল এবারের বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৮৬ রান করে শাহিন শাহ আফ্রীদের বলে ইফতেখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রোহিত শর্মা। ছয়টি চার ও ছয়টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস। শ্রেয়াস আয়ার করেন ৫৩ রান। ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।
অল্প রানের পূঁজি নিয়ে কোন লড়াই করতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। ভারত খেলা শেষ করে ৩০ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেটে ১৯২ রান করে।