আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসটা মোটেও সমৃদ্ধ নয়। এবারের আগে বিশ্বকাপের মাত্র দুই আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে দেশটি। ওই দুই টুর্নামেন্টে শুধু দলের সংখ্যা বাড়িয়েছিল তারা। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে ২০১৫ সালে একটা মাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। প্রতিপক্ষ ছিল স্কটল্যান্ড।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে তারা শূন্য হাতে ফিরেছিল। ১০ দলের বিশ্বকাপে তারাই একমাত্র ছিল জয়হীন এক দল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে ছিল। তবে চার বছর ব্যবধানে ভিন্ন চিত্র। একটা বা দুটো নয়, এরই মধ্যে এবারের টুর্নামেন্টে তারা চারটি জয় পেয়েছে। দেখছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
শেষ পর্যন্ত তারা সেমিফাইনাল খেলার ছাড়পাত্র পাবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এরই মধ্যে অনন্য এক অর্জনের পথে এগিয়ে গেছে। ছাড়পত্র পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার।
২০২৫ সালে পাকিস্তানে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে শীর্ষ আট দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে। ৭ ম্যাচ থেকে আট পয়েন্ট পেয়ে আফগানিস্তান পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এখনো তাদের দুটো ম্যাচ বাকি। এই দুই ম্যাচে হারলেও শীর্ষ আট থেকে তাদের কেউ ছিটকে দিতে পারবে না। ফলে এরই মধ্যে আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে। আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে।
শুরুতে প্রতি দুই বছর অন্তর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়ালেও পরবর্তীতে তা চার বছর অন্তর করা হয়। সে অনুসারে ২০২১ সালে নবম আসর মাঠে গড়ানোর কথা থাকলে তা হয়নি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও চার বছর। অষ্টম আসরের আট বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর মাঠে গড়াবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে সফল দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এই দুই দেশ দুইবার করে শিরোপা জয় করেছে। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান।