প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের টিকে থাকার লড়াই

পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিরও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। এবারের বিশ্বকাপেরও অন্যতম ফেভারিট। চার বছরের মধ্যে তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ দলটির সামনে। তবে ফেভারিটের তকমাটা কেমন যেনো একটু ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছে। উজ্জ্বলতা ফেরাতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নাই ইংলিশদের। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়ইটায় প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দিবারাত্রির এ ম্যাচটি হবে ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে।

ব্যাট-বলের এ লড়াইয়ে প্রোটিয়া ব্যাটাররা প্রথম দুই ম্যাচে রান উৎসব করেছে। এ উৎসবে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। তিন ম্যাচে দুটোতেই সেঞ্চুরি তার। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে জবাব দিতে পারেননি। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলতে প্রস্তুত তিনি। তার সঙ্গে আছেন এইডেন মার্করাম, রাশি ভ্যান ডার ডুসেন আর ডেভিড মিলার। যারা দক্ষিণ আফ্রিকার রান সমৃদ্ধ করতে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।

প্রোটিয়ােদের ব্যাটারা যেমন দলকে রান বন্যায় ভাসাতে দক্ষ তেমনি দলটির বোলাররা প্রতিপক্ষকে চুরমার করতেও সিদ্ধহস্ত। মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিদিরা অস্ট্রেলিয়ার মত দলকে বিধ্বস্ত করেছে। কাগিসো রাবাদা উইকেট শিকারে বর্তমানে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাত উইকেট সংগ্রহ তার।

ইংলিশ ব্যাটাররা টুর্নামেন্টে এখনো সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ব্যতিক্রম শুধু ডেভিড মালান ও জো রুট। নিজেদের দক্ষতায় তারা দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। মালান এরই মধ্যে একটা সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। জো রুট এখনো তিন অঙ্কের সেই যাদুকরী রানের দেখা পাননি কিন্তু দুটো কার্যকরী হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

ইংলিশ বোলারদের কেউ এককভাবে বিধবংসী হতে পারছেন না। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে বোলাররা নাস্তানবুদ হয়েছিল সে অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে। বাংলাদেশকে অল আউট করেছিল, আফগানিস্তানের সব উইকেট তুলে নিয়েছিল। তবে তা ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আজ ইংলিশ অধিনায়ক তেমন একটা পারফরম্যান্স আশা করতেই পারেন।

Exit mobile version