একের পর এক উইকেট পতনে বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারবে এমন একটা শঙ্কা ঠিকই শুরুতে তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ বিপর্যয় এড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৪৬ রানের টার্গেট দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করেছে।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ উভয় দলের এটা তৃতীয় ম্যাচ। উভয় দলের জন্য ম্যাচটার বেশ গুরুত্ব রয়েছে। একদিকে নিউজিল্যান্ডের জয়ের ধারা ধরে রাখা, অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য জয়ের ধারায় ফেরা। পয়েন্ট টেবিলের গুরুত্বও অপরিসীম। এ ম্যাচের ফলাফলে কোনো দলেরই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে না। আবার কোনো দলের সেমিফাইনালের খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে তাও নয়। তবে জয় যেমন দলকে সেমিফাইনালের দিকে এগিয়ে দেবে তেমনি তার সেমিফাইনালের পথটা অমসৃণ করে দিতে পারে।
এমন লড়াইয়ে টস জয়ের দিবারাত্রির এ ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ব্যাট হাতে নামাটা যে এতটা অস্বস্তিকর হয়ে দেখা দেবে তা হয়তো বাংলাদেশের ব্যাটারদের কেউ কল্পনাও করেননি। একের পর এক উইকেট পতন, মাত্র ৫৬ রানে শীর্ষ চার ব্যাটার দর্শক বনে যান। তানজীদ হাসান (১৬) সেই ব্যর্থতার ঘেরাটোপে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিলেন লিটন দাস (০), আর নাজমুল হোসেন শান্ত (৭)।
অবশেষে পঞ্চম উইকেটে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে মুখ রক্ষা। তারা ৯৬ রানের জুটি গড়েন। সাকিব ৪০ রানে এবং মুশফিকুর ৬৬ রানে আউট হয়। তাদের আউটের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার আরো একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যাকে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা সেই মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংস দীর্ঘায়িত হয়। ৪৯ বলে ৪১ রান করে দলের সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। অথচ এ ম্যাচে তার থাকা নিয়ে সন্দেহ ছিল। আগের ম্যাচে তাকে রাখাও হয়নি। এমনকি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাকে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট তর্ক বিতর্ক ছিল। বিশাল দুটো ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। মাহমুদউল্লাহ’র পাশাপাশি সাকিব, মুশফিকুর ও তাসকিনও দুটো করে ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
লকি ফার্গুসন ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল বোলার। তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ট্রেন্ট বুল্ট, ম্যাট হেনরি দুটো করে উইকেট পান।