বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড গড়লো ভারত

দীর্ঘ ৪৬ দিন জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। আজ আইসিসি থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বকাপের এবারের আসরে ১২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি দর্শক মাঠে বসে খেলা উপভোগ করেছেন। এটি আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে এক আসরে দর্শকসংখ্যার নিরীখে সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি হয়েছিলো ২০১৫ সালে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথভাবে আয়োজন করা সেই আসরে মাঠে বসে খেলার স্বাক্ষী হয়েছিলো ১০ লাখের বেশি মানুষ।

নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দর্শক ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে দর্শক উপস্থিতির সর্বোচ্চ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা থাকলেও তা হয়নি। ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শক একসাথে খেলা দেখার সুযোগ থাকলেও মেগা ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন ৯২ হাজার ৪৫৩ জন। ফাইনালে দর্শকসংখ্যার রেকর্ড না ভাঙলেও বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ দর্শকের সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙেছে ভারত।

বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনালে মাঠে দর্শক ছিলেন ৯২ হাজার ৪৫৩ জন। অন্যদিকে ২০১৫ সালে এমসিজিতে মাঠ কাঁপিয়েছেন ৯৩ হাজার ১৩ জন মানুষ। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে দর্শকসংখ্যার রেকর্ড না ভাঙলেও উদ্বোধনী ম্যাচে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করা ক্রিকেটপ্রেমীদের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটিতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত হয়েছিলো। এছাড়াও একদিনের বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের মহারণটিতে আগের যেকোনো আসরের তুলনায় বেশি দর্শক ছিলো।

বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ দর্শকের আগের রেকর্ডটি হয়েছিলো ২০১৫ সালে। সেবার যৌথভাবে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। গ্যালারিতে বসে সেবার ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়েছিলো ১০ লাখ ১৬ হাজার দর্শক। অন্যদিকে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের গত আসরে ইংল্যান্ডের স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শকসংখ্যা ছিলো ৭ লাখ ৫২ হাজার।

Exit mobile version