বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার ৩৪৫ রানের টার্গেটে আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে পাকিস্তান। লঙ্কানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে বাবর আজমের দল। আর টানা দুই ম্যাচ হারলো শ্রীলংকা।
কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৪৪ রান করে শ্রীলংকা। মেন্ডিস ১২২ ও সামারাবিক্রমা ১০৮ রান করেন। জবাবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের সেঞ্চুরির জবাব সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে দিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শফিকের ১১৩ ও রিজওয়ানের ১৩১ রানের সুবাদে ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
হায়দরাবাদে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শ্রীলংকা। দ্বিতীয় ওভারে পেসার হাসান আলির বলে খালি হাতে বিদায় নেন কুশল পেরেরা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মেন্ডিসের সাথে ৯৫ বলে ১০২ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৬১ বলে ৫১ রান করেন নিশাঙ্কা।
মারমুখী মেজাজে ছিলেন কুশল মেন্ডিস। ৬৫ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন মেন্ডিস। শ্রীলংকার হয়ে বিশ্বকাপে এটি দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৭৭ বলে ১২২ রানে থামে মেন্ডিসের ঝোড়ো গতির ব্যাটিং। ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। সামারাবিক্রমার সাথে ৬৯ বলে ১১১ রানের জুটি গড়েন।
মেন্ডিস ফেরার পর পঞ্চম উইকেটে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সাথে ৬৬ বলে ৬৫ ও ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে নিয়ে ৩২ বলে ৩০ রান তুলে দলের রান তিনশ পার করেন সামারাবিক্রমা। ধনাঞ্জয়া ২৫ ও শানাকা ১২ রান করেন।
৪৬তম ওভারে এসে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান সামারাবিক্রমা। ৮৯ বলে ১০৮ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে শ্রীলংকা। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান শ্রীলংকার। পাকিস্তানের হাসান আলী ৭১ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া ২ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ।
৩৪৫ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। ৩৭ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় তারা। দলীয় ১৬ রানে আউট হয়েছেন ইমাম-উল-হক। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফ্লপ ইমাম করেন ১২ রান। অধিনায়ক বাবর আজমও প্রথম ম্যাচের মতো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ১০ রানে আউট হয়েছেন বাবর। প্রথম দুটি উইকেটই নেন লঙ্কান বোলার দিলশান মাদুশঙ্কা। এরপর দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেঞ্চুরি করেন আব্দুল্লাহ শফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৩ বলে ১১৩ রানে আউট হয়েছেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৫৬ বলে ১৭৬ রান যোগ করেন শফিক ও রিজওয়ান।
শফিক আউট হলেও পাকিস্তানের রানের চাকা সচল ছিল রিজওয়ানের ব্যাটের উপর ভর করে। ৯৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ১২১ বল খেলে ১৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া সৌদ শাকিল ৩১ ও ইফতিখার ১০ বলে ২২ রান করেন।