ভারতের সামনে কিউইদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

ধর্মশালার উইকেটটা এমনই যে সেখানে টস জিতলে অধিনায়ক প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রয জানায়। আজ বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন লিগে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ তার ব্যতিক্রম হয়নি। টস জয়ের পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে।

রোহিত শর্মা যে উদ্দেশে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার কিছুটা সফল হয়েছে। ইনিংসের শুরুতেই তার দলকে সাফল্য এনে দেন দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ সামি। মাত্র ১৯ রানের মধ্যে তারা দুই ওপেনারকে দর্শকে পরিণত করেন। কোনো রান করার আগেই বিদায় নিয়েছেন ডেভন কনওয়ে। তার সঙ্গী উইল ইয়ংও তাকে অনুসরণ করেন মাত্র ১৭ রানে।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রাচিন রবিন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল দারুণভাবে বিপর্যয় এড়িয়েছেন। দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দেন তারা। ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ তাদের। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সামি এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরান। তার বলে রবিন্দ্র ধরা পড়েন শুভমান গিলের হাতে। ৭৫ রান করেন তিনি। ৮৭ বলের মোকাবেলা এ রান করতে ছয়টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। এই জুটিতে ভাঙ্গনের পর নিউজিল্যান্ড আর কোনো বড় জুটি দাঁড় করাতে পারেনি। রান যা এসেছে তা ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে। ১৩০ রান করেছেন। ১২৭ বলের মোকাবেলা ৯ বাউন্ডারির পাশাপাশি ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি।

রাচিন রবিন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল জুটি ভাঙ্গার পর আর বড় জুটি না গড়তে পারলেও পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফ্লিপসের সঙ্গে ড্যারিল মিচেলের জুটিটা যথেষ্ট কার্যকর ছিল। ফলে এ সময়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে আরো ৩৮ রান যোগ হয়। নিউজিল্যান্ডের শেষ দিকের ব্যাটাররা শুধু নিয়ম পালন করেছেন। ক্রিজে এসেছেন আর ফিরেছেন। ব্যাট হাতে নামা শেষ চার ব্যাটারের কেউ ব্যক্তিগত রানকে দুই অঙ্কে নিতে পারেননি। শুধু তাই তাদের অবস্থা সত্যিকারভাবেই নাজুক ছিল। এর মধ্যে মিচেল একাই লড়ে গেছেন।

মোহাম্মদ সামি ছিলেন ভারতের সফল বোলার। ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। একবার অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হ্যাটট্রিক হয়নি। দুই উইকেট নিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব।  এছাড়া জাসপ্রিত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ একটি করে উইকেট নেন।

Exit mobile version