বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সেঞ্চুরির সুবাদে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান করেছে। বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন ম্যাক্সওয়েল। গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। মাত্র ৪৪ বলে ১০৬ রান করেছেন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট হাতে নেমে শুরুতে তারা একটা ধাক্কা খায়। হারায় মিচেল মার্শকে। মাত্র ৯ রানে ফন বিকের বলে বোল্ড হন মার্শ। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। ১৩২ রানের পার্টনারশিপ তাদের। স্মিথ ৬৮ বলে ৭১ রান করে আউট হয়ে যান। ৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। দত্তের বলে ফন ডার মারউইয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মার্নাশ লাবুশেনের সঙ্গে ওয়ার্নার তৃতীয় উইকেটেও দারুণ একটা জুটি গড়েন। ৮৪ রানের জুটি তাদের। একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন লাবুশেন। মাত্র ৪৭ বলে নিজের নামের পাশে ৬২ রান লিখিয়ে নেন। এ রান করতে সাতটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ওয়ার্নার খেলেছেন ১০৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৯৩ বলে খেলা ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১১ বাউন্ডারি ও তিন ওভার বাউন্ডারিতে। তবে নেদারল্যান্ডস বোলারদের ওপর মূল স্টিম রোলার চালিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। যা বিশ্বকাপের রেকর্ড। বিশ্বকাপে এর আগে কেউ এত কম বলে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এর আগে ২৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি এটি। প্রথম দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক কুশল মেন্ডিস। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতক করেছিলেন তিনি।
ম্যাক্সওয়েল ৭৫ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে মাত্র ৫ বল খেলেছেন। ডি লিডির করা ওই ওভারে প্রথম চার, পরের বলে চার, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ৬ এবং পরের বলটি ছিল নো বল। সে বলেও তিনি ছক্কা মেরেছেন। সেঞ্চুরির পরপরই আউট হয়ে যান তিনি। করেছেন ১০৬ রান। মাত্র ৪৪ বলে এই ইনিংসটি সাজাতে ৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি আটটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
ফন বিক ছিলেন সফল বোলার। ৭৪ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন। দুই উইকেট পেয়েছেন বাস ডি লিডি। তবে তার ওপর দিয়েই ঝড়টা বেশি গেছে। ১০ ওভারে তিনি ১১৫ রান দিয়েছেন। এর আগে ১০ ওভারে কেউ এত রান দেননি।