বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ওয়ানডে, টি-২০ এমনকি টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বাবর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছেন, বাবরকে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে থাকার জন্য বলা হলেও তিনি তাতে সম্মতি দেননি।
বাবর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে। শাহীন শাহ আফ্রিদি টি-২০ ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে শান মাসুদকে। ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ বলেন, বাবর আজম সত্যিকারভাবেই বিশ্বমানের এক ব্যাটার। আমরা তাকে দলে একজন ব্যাটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেখতে চাই। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত যত ব্যাটার এসেছে তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা বাবর। সে আমাদের সম্পদ। আমরা সবসময় তার পাশে আছি। আমাদের বর্তমান প্রজম্মের জন্য সে একজন আদর্শ।
জাকা আশরাফ আরও বলেন, আমরা তাকে আরও বড় ব্যাটার হিসেবে দেখতে চাই। অধিনায়কত্বের বোঝা তার কাঁধে না থাকায় সে এখন তার ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবে। সে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাকে সম্মান করি।
২০২০ সাল থেকে বাবর তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করছিলেন। প্রথমে তিনি শুধু টি-২০ দলের অধিনায়ক ছিলেন। এক বছর পরে অন্য দুই ফরম্যাটের অধিনায়কত্বও তার কাধে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তার নেতৃত্ব পাকিস্তান দল ভালো করতে ব্যর্থ তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
অধিনায়কত্বের শুরুর কথা স্মরণ করে বাবর আজম বলেন, আমার স্পষ্ট সে সব কথা মনে রয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ২০১৯ সালে আমার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল। গত চার বছরে আমার মাঠে এবং মাঠের বাইরে ভালো কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছেন তেমনি তিক্ত অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। তবে আমি সবসময় পাকিস্তান ক্রিকেটকে গর্ব সহকারে উঁচুতে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
বাবর আরও বলেন, আমরা ওয়ানডে ক্রিকেটে এক নম্বর হয়েছিলাম। খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সমম্বিত প্রচেষ্টায় এটি হয়েছিল। এ সময়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। যাহোক আজ আমি সব ধরণের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত তবে আমি মনে সরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।