আজ মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে চলতি বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখানো আফগানিস্তান। জিতলেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিবে অজিরা।
পারিবারিক কাজে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ায় মিচেল মার্শ এবং গলফ বগি থেকে পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে আজকের ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে দুইজনকেই। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান দলে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে রয়েছে সংশয়। ফিট না থাকায় আজ তাঁর মাঠে না নামার সম্ভাবনাই বেশি।
একটা সময় ছিলো যখন বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নির্ভার ছিলো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে আফগানদের অভিষেক হয়েছে ২০১৫ সালে। অভিষিক্ত হওয়ার পর দুই আসরে আফগানদের নিয়ে একধরনের ছেলেখেলাই করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানদের বিপক্ষে ৪১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের ১৭৮ রানের বদৌলতে বিশ্বকাপে নব্য এশিয়ান দলটিকে তাঁরা হারিয়েছিলো ২৭৫ রানে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্রিস্টলে আফগানদের ২০৭ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে সাত উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তিরা।
তবে চলতি বিশ্বকাপে তাঁরা ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে সেই নতুন দলটার বিপক্ষে নামছে না। সময়ের সাথে সাথে আফগানিস্তান খেলোয়াড়রা এখন অনেকটাই পরিপক্ক। যদিও এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে, আফগানিস্তান তাঁদের সামনে বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। আফগানিস্তান নিজেরাও টানা তিন ম্যাচ হারের মুখ দেখেনি। তাঁরা এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিপক্ষে জয় পেয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এতে তাঁদের সামনে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে। তাঁদের কাছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় দূর্বলতার জায়গাটায় আঘাত এনে জয় পাওয়ার অস্ত্র রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনআপকে মুজিব-নবী-রশিদ-নুররা রীতিমত ধসিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। অন্যদিকে এই বিশ্বকাপে আফগানদের ব্যাটিং লাইনআপটাও বেশ শক্তিশালী।