বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে উড়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তারা। ৭ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩৯৯ রানের জবাবে মাত্র ২২ ওভারে ১৭০ রানে অল আউট হয়েছে ইংল্যান্ড। এই হারের সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে গেল বলা যেতে পারে।
চার ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ড মাত্র এক ম্যাচে জয় পেয়েছে। দুই পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে অবস্থান তাদের। অন্যদিকে বিশাল জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ভারত। উভয়ের পয়েন্ট আট। চার পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় হার। বোলিংয়ে যেমন নাজুক অবস্থা ছিল ব্যাটিংয়েও তেমন। নবম উইকেটে ইংল্যান্ড ৭০ রান করে। এটা ছিল তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ৩৮ রানে তাদের চতুর্থ উইকেটের পতন হয়েছিল। মূলত নির্ধারিত বিরতিতে ইংল্যান্ডের উইকেট পতন হয়েছে। দশম ব্যাটার মার্ক উডের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ রান। ৪৩ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া নবম ব্যাটার গাস অ্যাটকিনসন করেন ২১ বলে ৩৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েতজে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া লুঙ্গি এনগিডি ও মার্কো ইয়ানসেন দুটো করে উইকেট নেন।
এর আগে ইংল্যান্ড টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। রিস টপলি যখন ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ইনফর্ম ব্যাটার কুইন্টন ডি কককে আউট করেন তখন হয়তো বাটলার তার সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু সময় যত গড়াতে লাগলো ততই তার আত্মবিশ্বাস ফ্যাকাশে হতে থাকে। রেজা হেনড্রিকস ও রসি ফন ডার ডুসেন যে তখন রান ঘোড়ায় চড়ে বসেছেন।
২০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই তারা স্কোরবোর্ডে ১২৫ রান জড়ো করেন। ১২১ রানের পার্টনারশিপ তাদের। ৬১ বলে ৬০ রান করেন ডুসেন। আটটি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। হেনড্রিকস করেন ৭৫ বলে ৮৫ রান। ৯ বাউন্ডারির পাশাপাশি তিন ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
তবে প্রোটিয়াদের রানের ঘোড়াটা ছুটেছে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। ১৫১ রান এসেছে এ জুটিতে। এ রান করতে তারা খেলেছে ১২.৩ ওভার। মাত্র ৬৭ বলে ১০৯ রানে টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন হেনড্রিকস ক্লাসেন। এক ডজন বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। এ সময় তার সঙ্গী ছিলেন মার্কো ইয়ানসেন। তিনি ৪২ বলে ৭৫ রান করেছেন। তিনটি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। আর ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা ছিল ৯টি।
প্রোটিয়াদের ইনিংসে ৩৮টি বাউন্ডারির মার ছিল। আর ওভার বাউন্ডারি ছিল ১৩টি।
রিস টপলে ছিলেন সফল বোলার। ৩ উইকেট শিকার তার। তবে খরচ হযেছে ৮৮ রান। এছাড়া গাস অ্যাটকিনসন ও আদিল রশিদ দুটো করে উইকেট পান।