ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরেছে মোহামেডান। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে মোহামেডান, বাকি আছে একটি ম্যাচ। নাটকীয় কিছু না হলে এবার সম্ভবত সেমিতে যেতে পারছে না মোহামেডান। কোচ আলফাজ আহমেদ কোনো আশাই দেখছেন না। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সেমিতে ওঠার আর কোনো সম্ভবনা দেখছি না। লিখে দিতে পারেন আমাদের বিদায়।’
অবশ্য এখনই বিদায় বলা যাচ্ছে না মোহামেডানকে। তবে এ গ্রুপ থেকে আবাহনী আর রহমতগঞ্জের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। দুই ম্যাচ খেলে দুই দলেরই পয়েন্ট ৬ করে। মোহামেডানের তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। ‘বি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল সেমিতে যেতে আজ আবাহনীর বিপক্ষে জয়টা খুব দরকার ছিল। কিন্তু তা আর হলো না।

একমাত্র গোলটা হয়েছে ৭৪ মিনিটে। পাল্টা আক্রমণ থেকে এনামুল লম্বা পাস দেন শাহরিয়ার ইমনকে। ইমন সুযোগটি মিস করেননি। জালে পাঠিয়েছেন বক্সে। সেখানে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ইব্রাহিম বলটি সহজেই গোলে রূপান্তরিত করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন একমাত্র গোল করা ইব্রাহিম।
গোলদাতা ইব্রাহিমের পাশাপাশি এই জয়ের কৃতিত্ব দিতে হবে আবাহনীর গোলকিপার মিতুল মারমাকেও। বিরতির পর মোহামেডানের তরুণ ফরোয়ার্ড মঈনের হেড দারুণভাবে সেভ করেন মিতুল। বারের নিচে পুরোটা সময় বিশ্বস্তই ছিলেন আবাহনীর গোলকিপার। করেছেন দারুণ সব সেভ।

প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে কুমিল্লার ধীরেন্দনাথ দত্ত স্টেডিয়ামেই ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে ৪-৪ ড্র শেষে টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান। সে ম্যাচে একাই চার গোল করে সব আলো কেড়ে নেন মোহামেডানের মালির স্ট্রাইকার সুলেমান দিয়াবাতে। স্মরণীয় সেই জয়ের পর একই স্টেডিয়ামে আজ ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো মোহামেডানের। কুমিল্লাতেই আজ আবাহনীর কাছে হেরে এবারের ফেডারেশন কাপে বিদায়ের ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছে সাদাকালোরা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩












