এবার টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় শাস্তি পেলেন ক্যারিবিয়ান সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। এ ঘটনায় ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচকে। পাশাপাশি তার নামের পাশে যোগ করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। দুই বছর সময়ের মধ্যে তার প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট এটি।
সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বারবাডোজ টেস্টের ঘটনায় এই শাস্তি পেয়েছেন স্যামি। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুটি সংশয়পূর্ণ আউট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক।
ম্যাচে একটিতে এলিবিডব্লিউ হয়েছিলেন রোস্টন চেইস। এরপর টিভি রিভিউয়ে আল্ট্রা-এজ দেখার সময় বেশ কিছু স্পাইক দেখা যায়। তবে বল ব্যাটে লাগার কারণে নাকি অন্য কোনো উৎস থেকে ওসব স্পাইক, তা বোঝা পরিষ্কার বোঝা যায়নি। টিভি আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক বহাল রাখেন মাঠের আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত।
পরে শেই হোপের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন কিপার অ্যালেক্স কেয়ারি। তবে বল মাটি স্পর্শ করেছিল কি না, নিশ্চিত হতে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠানো হয় সিদ্ধান্ত। এবারও আউট দেন টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টক।
এরপর দিনের খেলা শেষে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলেন স্যামি। পুরোনো জের ধরে সিদ্ধান্তের অভিযোগও তোলেন তিনি হোল্ডস্টকের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন,‘আমরা বোঝার চেষ্টা করছি আসলে প্রক্রিয়াটা কী। আমরা কেবল ধারাবাহিকতা আশা করতে পারি। স্রেফ এটাই আমরা চেয়েছি। যখন কোনো কিছু নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকে, সব বোর্ডের ক্ষেত্রেই যেন একই ধারাবাহিকতা থাকে। এমন কোনো অবস্থায় কেউই পড়তে চায় না, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো আম্পায়ার নিয়ে ধন্দে পড়ে যেতে হয় যে, ‘সে কি এই দলের বিপক্ষে?’
এরকম যখন একটির পর একটি ভুল সিদ্ধান্ত দেখা যায়, তখন এই প্রশ্নই উঠে যায়।’‘আমি খেয়াল করেছি, বিশেষ করে এই আম্পায়ার… আমার সঙ্গে তার কিছু একটা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড থেকেই। ব্যাপারটি খুবই হতাশাজনক। আমি স্রেফ চাই, সিদ্ধান্ত গ্রহণে যেন ধারাবাহিকতা থাকে।’
এই মন্তব্যের পর স্যামির বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির ২.৭ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, যেখানে বলা হয়েছে ‘কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলার সময়ের কোনো ঘটনা বা কোনো ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচ অফিসিয়াল বা কোনো দলকে নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা বা অনুপযুক্ত মন্তব্য করা।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















