বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে, আর তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেই দগদগে ক্ষত-বাসেল শহরের সেন্ট জ্যাকব পার্কে যেন জবাব খোঁজার এক চূড়ান্ত মঞ্চ আজ।
বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচ আসলে ২০২৩ ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি। যেখানে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বসেরা হয়েছিল স্পেন। সেই ম্যাচের স্মৃতি এখনো তাজা ‘লায়নেস’ শিবিরে—বাসেল কি হতে চলেছে প্রতিশোধের জায়গা?
তবে চলতি বছরের নেশনস লিগে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব কিন্তু সমান তালে চলছে। ফেব্রুয়ারিতে ওয়েম্বলিতে জেস পার্কের একমাত্র গোলে জয় পায় ইংল্যান্ড। জুনে স্পেন ঘুরে দাঁড়িয়ে অ্যালিসিয়া রুসোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ক্লদিয়া পিনার জোড়া গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। সেই জয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে পৌঁছায় স্পেন এবং পরবর্তীতে শিরোপাও ঘরে তোলে।
আজ স্পেনের সামনে বিরল এক অর্জনের হাতছানি। বিশ্বকাপ, নেশনস লিগ ও ইউরো-এক বছরে ট্রেবল জয়ের সুযোগ খুব বেশি দেশের ভাগ্যে আসেনি। নারী ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে এটিই হবে স্পেন-ইংল্যান্ডের চতুর্থ দেখার সাক্ষী।
২০১৩ সালে গ্রুপ পর্বে জয় পেয়েছিল স্পেন (৩-২)। ২০১৭ সালে একই পর্বে ইংল্যান্ড জেতে ২-০ গোলে। আর ২০২২ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড ২-১ গোলে জিতে এগিয়ে যায় শিরোপার পথে।
ইতিহাসের পাতায় সামান্য এগিয়ে থাকলেও, বর্তমান ফর্মের বিচারে স্পেনই এগিয়ে। শেষ ১০ ম্যাচে অপরাজিত দলটি এবার ফাইনালে পা রাখছে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে। তবে তাদের শেষ পরাজয়? ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই।
ফাইনালের আগে দুই শিবিরে উত্তেজনা ও আত্মবিশ্বাস দুটোই প্রবল। ইংল্যান্ড কোচ সারিনা ওয়েগম্যান জানালেন:
“ফাইনাল সবসময়ই বিশেষ কিছু। এত দল অংশ নেয়, কিন্তু সুযোগ পায় মাত্র দুটো। আবার ইংল্যান্ড-স্পেন—আমার দল নিয়ে গর্বিত।”
স্পেন কোচ মন্টসেরাট তোমেও আত্মবিশ্বাসী:
“আমরা এমন কিছু করি যা আমাদের ভালো লাগে। দলে যে দক্ষতা আছে, তা দিয়ে আমরা সেরাটা তুলে আনতে চাই।”
বিভিন্ন জরিপ বলছে ভিন্ন ভিন্ন কথা। অপটা সুপার কম্পিউটারের বিশ্লেষণ বলছে, সামান্য এগিয়ে স্পেনই- ৫১.৫ শতাংশ সম্ভাবনায় তারা ফেভারিট। ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা ৪৮.৫ শতাংশ। তবে এই পরিসংখ্যান দেখে কোনোভাবেই ফলাফল প্রেডিক্ট করা সম্ভব নয়।
তবে ইংল্যান্ডও পিছিয়ে নেই কোনো দিক দিয়েই। এই নিয়ে টানা তিনটি বড় টুর্নামেন্ট (ইউরো/বিশ্বকাপ) ফাইনালে তারা। ইউরোপে এর আগে এই কীর্তি ছিল কেবল জার্মানি ও নরওয়ের।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















