সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের নবম আসরে বিশ্ব দেখছে এক অপ্রতিরোধ্য ভারতকে। গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়ের পর সুপার এইটেও তিনে তিন। ব্যাটিং হোক বা বোলিং; ভারতীয়দের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ম্যাচে অজিদের হারিয়ে আরো একটা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অবস্থা ছিলো একেবারেই উল্টো। টুর্নামেন্টের এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাবে তাঁরা। সুতোয় ঝোলা ভাগ্য থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবশ্য তাঁরা সুপার এইট থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে সবার আগেই।
সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে সাধারণত একটা নির্দিষ্ট দলকে ফেভারিট বলা মুশকিল। আর তা যদি হয় ভারত আর ইংল্যান্ডের মতো দল, তাহলে দর্শকরা একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের আশা রাখতেই পারে। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড হাইভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৭ জুন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
ভারত যেভাবে ছুটে চলছে শিরোপার দিকে, তাতে তাঁদের অপ্রতিরোধ্য গতি থামানোটা যেকোনো দলের জন্যই একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ বললেও ভূল হবে না। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে নামটা যখন ইংল্যান্ডের, সেখানে ভারতকে সেমি বাঁধা পেরোতে বেগ পেতে হতে পারে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের অবস্থা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে একটু ফিরে তাকালেই। এইতো, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো এই দুই দল। সেবার অ্যাডেলেইডে ভারতকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় জস বাটলারের ইংল্যান্ড। ১৬৯ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলে ইংলিশরা। যেখানে ম্যাচটা ১৬ ওভারেই শেষ করে দেন দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস।
অ্যাডেলেইডের সেই সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠবে ইংল্যান্ড নাকি ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুঃস্মৃতি ভূলে আরো একটা শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলতে ফাইনালে পা রাখবে ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারত- সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।