অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে ‘এ-গ্রুপের’ লড়াই জমিয়ে তুললো আফগানিস্তান। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে আরনস ভেইল গ্রাউন্ডে আফগানিস্তানের ছুড়ে দেয়া ১৪৯ রানের টার্গেট টপকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। উল্টো চার বল আগেই ১২৭ রানে গুটিয়ে গেছে মিচেল মার্শের দল।
প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হন ট্রাভিস হেড। তৃতীয় ওভারে মিচেল মার্শ ১২ ও ষষ্ঠ ওভারে ডেভিও ওয়ার্নার তিন রান করে আউট হন। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন গ্লেন ম্যাকওয়েল। অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা উইকেটে রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন।
৩ উইকেটে ৩২ রান করার পর চতুর্থ উইকেটে ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস জুটি অজিদের জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন, গড়েন ৩৯ রানের জুটি। এ সময় স্টয়নিস শুধু ম্যাক্সওয়েলকে স্ট্রাইক দিয়ে যাচ্ছিলেন। ১১তম ওভারে গুলবাদিন নাইব ১১ রান করা স্টয়নিসকে আউট করার পরই শুরু হয় অজিদের ব্যাটিং ধস। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানেই থামে অস্ট্রেলিয়ার দলীয় ইনিংস।
১৫তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিলো ৩২ বলে ৪৩ রান। কিন্তু সেটিও করতে পারেননি লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা।
আফগানদের এই জয়ে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন গুলবাদিন নাইব। চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। ফলে ম্যাচ সেরার ব্যক্তিগত পুরস্কারটিও উঠেছে তার হাতে।
এর আগে টস হের ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। টিকে গেলে কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদেরও তা বুঝিয়ে দিয়েছেন গুরবাজ। ৪৯ বলে ৬০ রান করে গুরবাজ আউট হওয়ার পর দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ইব্রাহিম জাদরান আউট হন ৫১ রান করে।
টপ অর্ডারের দারুণ শুরুর পরও শেষ তিন ওভারে মাত্র মাত্র ২৬ রান যোগ করতে সমর্থ হয় আফগানিস্তান। অজি পেসার এই ম্যাচেও দুই ওভার মিলিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে করিম জানাত ও গুলবাদিন নাইবকে আউট করেন কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা যথাক্রমে তিন ও দুই উইকেট পেয়েছেন। উভয়েই চার ওভার বল করে দিয়েছেন ২৮ রান।