ইতিহাস গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোন বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো প্রোটিয়ারা। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলিং তোপে ১১ ওভার পাঁচ বলে ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। জবাবে ৮ ওভার পাঁচ বলে এক উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস তৈরি করেছিলো আফগানিস্তান। আর দক্ষিণ আফ্রিকা যেন হয়ে গিয়েছিলো সেমিফাইনালের দল। আইসিসি’র বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এর আগে সাতবার সেমিফাইনালে খেলেছিলো তারা। এর মধ্যে পাঁচবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
গ্রুপ ও সুপার এইটে ভালো খেলেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া আফগানিস্তান যদি বড় ম্যাচের চাপ সামাল দিতে পারে তবে তাদের পক্ষে ইতিহাস তৈরি করা সম্ভব বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কেননা সেমিফাইনালে ভেঙে পড়ার বিষয়টি দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে একেবারে গেথে গিয়েছিলো।
কঠিন উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মার্কো জানসেনের বলে গুরবাজের আউট বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিলো। এক ওভার বিরতি দিয়ে অর্থাৎ তৃতীয় ওভারে জানসেনের বলেই আউট হন ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা গুলবাদিন নাইব। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই আরেক ডেঞ্জারম্যান ইব্রাহিম জাদরানকে বোল্ড করেন কাগিসো রাবাদা।
শুরু থেকেই আফগান ব্যাটারদের উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল শেষ হয় ১২তম ওভারের ৫ম বলে তাদের ৫৬ রানে অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মার্কো জানসেন ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে এবং তাবরেইজ শামসি এক ওভার পাঁচ বলে ৬ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। আর দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কাগিসো রাবাদা ও অ্যনরিচ নর্টজে।
৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিলো সতর্ক। প্রথম ১০ বলে তাদের দলীয় সংগ্রহ যখন পাঁচ রান। তখন ফজল হক ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ফিল্ডিংয়ে থাকা আফগানিস্তান খেলোয়াড়দের তখন সেকি উল্লাস।
সে উল্লাস থেমে যেতে অবশ্য সময়ে লাগেনি। ৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে যে বেশি করা সম্ভব করা সম্ভব নয় আফগান বোলাররা দ্রুতই সেটি বুঝেছেন। রিজা হেনড্রিক্স ২৫ বলে ২৯ ও অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ২১ বলে ২৩ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এখন তাদের অপেক্ষা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মার্কো জানসেন।