একেকটা বিশ্বকাপ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুঃস্বপ্ন। আর তাতে বৃষ্টি যোগ হলে তো কথাই নেই। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হারলে সুপার এইটেই বিদায় নিতে হবে প্রোটিয়াদের। বৃষ্টির কারণে কয়েকদফা বন্ধ হওয়া ম্যাচে ১৭ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দেয়া হয় ১২৩ রান। শংকা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পাঁচ বল ও তিন উইকেট হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এইডেন মার্করামের দল।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার আটোসাটো বোলিংয়ের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানেই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ওপেনার কাইল মায়ার্সের ৩৫ ও রোস্টন চেজের ৫২ রানের বাইরে দলটার কোন ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। আর শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুইজন। আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ১৫ রান করে রান আউট হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ছয়জন বোলার এদিন হাত ঘুরিয়েছেন, এর মধ্যে উইকেট পেয়েছেন পাঁচজনই। এর মধ্যে তাবরেইজ শামসি চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন।
বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত সময়ে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি। খেলা শুরু হলে তাদের সামনে তিন ওভার কমিয়ে তাদের টার্গেট দেয়া হয় ১২৩ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রয়োজনীয় রান তুলতে মরীয়া ছিলো। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাওয়া ছিলো দ্রুত উইকেট তুলে নেয়া। সেখানে বার বারই ম্যাচের রং বদলেছে। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রয়োজনীয় ১২৪ রান তারা ৭ উইকেট হারিয়েই তুলে নেয়। এই সময় তাদের হাতে আরও তিন উইকেট ও পাঁচ বল ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ট্রিস্টান স্টাবস ২৭ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। হেইনরিচ ক্লাসেনের ২২ রান এসেছে মাত্র ১০ বল থেকে। ১৪ বলে ২১ রান করে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মার্কো জানসেন।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন প্রোটিয়া বোলার তাবরেইজ শামসি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
টস: দক্ষিণ আফ্রিকা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১২৪/৭ (১৬.১ ওভার) ১৭ ওভারে টার্গেট ১২৩ রান।
ম্যান অফ দি ম্যাচ: তাবরেইজ শামসি।