পাওয়ার প্লে উপভোগ্য নয়; থাকে কঠিন পরিস্থিতিঃ শেখ মেহেদী

আর ক’দিন বাদেই মাঠে গড়াবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। যার প্রস্তুতি হিসেবে স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সেখানে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সদস্যরা।

এই বিশ্বকাপ নিয়ে ক্রিকেটারদের লক্ষ্য ও ইচ্ছা নিয়ে তাঁদের একান্ত সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের পর্বে কথা বলেছেন শেখ মেহেদী হাসান।

শুরুতেই বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের গর্বের কথা জানিয়েছেন এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তিনি জানান, ‘আমরা সারাবছর কষ্ট করি একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে যারাই খেলে দেখা যায় যে একটা বছর আপনি জাতীয় দলে টানা খেলতেছেন সামনে একটা বিশ্বকাপ ওইটা নিয়েই সবার এক্সসাইটমেন্ট কাজ করে একজন খেলোয়াড়ের ভেতরে এবং বিশ্বকাপের দলে থাকা গৌরবের বিষয়। এটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

এর আগে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মেহেদী। তবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন এর পরের বছরেই। একবছর পর ২০২৩ সালে আবারো তাঁর প্রত্যাবর্তন হয়। এমন ফেরা নিয়ে মেহেদী বলেন, ‘দল থেকে বাদ পড়লে যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই খারাপ লাগে। আমার ক্ষেত্রেও একই ছিল। কিন্তু ফেরাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আবার ফিরতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন মেহেদী। তাঁর মতে, ‘উপভোগ করার থেকে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি ওখানে। যেহেতু পাওয়ারপ্লেতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, রানের খেলা। তো এখানে নিজেকে যত কম রানে আটকানো যায় বোলিং করে ওইটা বেশি চ্যালেঞ্জ থাকে। উপভোগ থেকে কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ার প্লেতে। উপভোগটা একদমই থাকে না, ওখানে যদি উপভোগটা করতে পারি তাহলে দলের বেনিফিটটা বেশি হয়।’

Exit mobile version