প্রথম ৮ আসরে বাংলাদেশের সাফল্য ব্যর্থতা!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে

বিশ্বকাপ আসে বিশ্বকাপ চলে যায়। তবুও বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরণ হয় না। আরও একটি স্বপ্ন যাত্রায় অংশ নিতে উড়াল দিয়েছে টাইগাররা। টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরুর আগে চলুন জেনে নেই আগের বিশ্বকাপ গুলোতে কি ছিল, বাংলাদেশের সাফল্য ব্যর্থতা।

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রায় শুভেচ্ছা জানাতে গভীর রাতেও বিমানবন্দরে ছিল সমর্থকদের উল্লাস।

এর আগে বুধবার, সারাদিন হোম অফ ক্রিকেট গ্রাউন্ড মিরপুরে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। সকালে কঠোর অনুশীলনের পর অফিসিয়াল ফটোসেশন করেন ক্রিকেটাররা। এরপর বিসিবিতে মধ্যাহ্নভোজ শেষে নিজেদের ব্যাগ, কিটব্যাগ, জার্সি বুঝে নেন। পরে কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দ্রুতই আবার তাদের চলে যেতে হয় বিমানবন্দরে।

তবে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে ক্রিকেটাররা যখন উড়াল দিয়েছেন তখন পেছনে তাড়া করছে পুরনো ব্যর্থতার রেকর্ড। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একেবারেই হতশ্রী।

বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের প্রথম জয় এসেছিল ২০০৭ সালে। প্রথম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র জয়। আরেকটি জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ ১৫ বছর। সেই জয় আসে ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে।

সেবার নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে মূল পূর্বে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়। তবুও রেকর্ডটা বেশ বিবর্ণই। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৮ ম্যাচে জয় মাত্র ৯টি। যার ৬টিই বাছাই পর্বে। মূল পর্বে কেবল ৩টি।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়। তবুও এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার এবং প্রত্যাশার চেয়ে বেশিদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেটাররা। তবে আশার কথা, এবার বাংলাদেশকে প্রথম বারের মতো বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে না। যদিও এবারের ফর্মেটে বাছাইপর্বই রাখা হয়নি।

২০ দলের বিশ্বকাপে চারটি গ্রুপ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপে আছে ৫টি করে দল। গ্রুপের সেরা দুই দল যাবে সুপার এইটে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল। সবশেষ ফাইনাল। বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য।

বাংলাদেশের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ জুন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ জুন। নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে ১৩ ও ১৭ জুন। বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ দুই দেশের নয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং ক্যারিবিয়ানের ছয়টি।

Exit mobile version