বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তান দলের প্রস্তুতি শুরু হয় ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশদের ১৮৩ রান তাড়ায় জিততে পারেনি বাবর আজমের দল। ১৬০ রানে গুটিয়ে গিয়ে হেরেছে ২৩ রানে।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার মতে, পাকিস্তান এখনো বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতির পর্যায়ে যেতে পারেনি। কারণ হিসেবে শীর্ষ ক্রিকেটারদের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে কিছু দুর্বলতা জানিয়েছেন।
এজবাস্টনে ১৮৪ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রিজওয়ান ও আইয়ুবকে হারায় ১৪ রানের মধ্যেই। রমিজ মনে করেন, সাইমকে ওপেনিংয়ে প্রচুর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বাদ দিয়ে রিজওয়ান-বাবরকে দিয়ে আবারও ওপেনিং শুরু করানো উচিত।
তবে স্পিনের বিপক্ষে বাবরের ব্যাটিংয়ে সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন। তার ভাষায়,বাবর পেসে ভালো করে, কিন্তু যখন স্পিনে সে আটকে যায়। ফলে, রিভার্স সুইপ, সুইপ বা সুইচ হিট খেলতে হবে বলে পরামর্শ দেন। নয়তো ফুটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করতে হবে এবং স্পিনারের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে হবে।’
এ ম্যাচে পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৬ রানে নেন ৩ উইকেট। তবে বাঁহাতি এই পেসারের বোলিংয়ে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ঘাটতি দেখছেন রাজা। বল সুইং না করলে সে ফুল লেংথ ডেলিভারি করা শুরু করে। আর ওখানেই মার খায়। তাই তো, শাহিনের লেংথ বল এবং গতিতে বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করার পরামর্শ।
উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান আজম খানের ক্ষেত্রে পেস বোলিং সামলানোর ক্ষেত্রে সমস্যা চোখে পড়েছে রমিজের। পেসে আজমের ব্যাটিং সমস্যাপূর্ণ। বড় দলগুলো তার এই দুর্বলতা বুঝে শর্ট বল করে যাবে,
স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাদাব ৪ ওভারে দেন ৫৫ রান। আর পাঁচে নেমে ৪ বলে করেন ৩ রান। ফলে বিশ্বকাপে শাদাবকে একাদশেই জায়গা দেখেন না রাজা।
তার ভাষায়,‘ব্যাটিংয়ে শাদাবের ভূমিকাটা আসলে কী, আমি বুঝতে পারছি না। শাদাবের বোলিংও যথেষ্ট মানসম্পন্ন নয় ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে।’বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে ১৬০ রান নয়, ১৮০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করার পরামর্শ দেন রমিজ রাজা।