লজ্জার ব্যাটিংয়ে হেরে অস্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের বিদায়

সত্যিই অবিশ্বাস্য লজ্জা! চরম ব্যর্থতা আর লজ্জার ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপের সেমির স্বপ্ন ভঙ্গ! প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমির স্বপ্ন পুরোণ করতে বোলাররা কাজটা সহজ করে দিলেও পারেনি ব্যাটাররা। প্রশ্ন বৃদ্ধ ব্যাটিংয়ে আফগানদের সাথে হেরে অস্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়।

আগের ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। তাতে বিশ্বকাপে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে যাওয়ার দরজা খুলে যায় বাংলাদেশের সামনে। সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ারও। কিন্তা না! বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার হৃদয় ভেঙে দিল আফগানরা।

এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১১৫ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন গুরবাজ। বোলাররা আফগানদের এই অল্প রানে থামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন বেড়ে যায়।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে নিতে হতো বাংলাদেশের।

আর তাও আফগানদের বাঘা বাঘা বোলারদের বিপক্ষে। অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুতে আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত হার-ই সঙ্গী হল টাইগারদের। তার পাশাপাশি সুপার এইট থেকে অস্ট্রেলিয়ারও বিদায় নিশ্চিত হল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার আফগানিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ। এর আগে সববারই জয় পেয়েছে টাইগাররা। কিংসটনে আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে এদিন দলকে একাই টেনেছেন ওপেনার লিটন দাস। ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস বাংলাদেশকে জয়ের সুবাদই দিচ্ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে শেষ পর্যন্ত লিটনও দলকে জেতাতে পারেননি।

দলের প্রয়োজনে তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি শান্ত-সৌম্য সাকিব-রিয়াদরা। যেন ব্যর্থতার মিছিলে নেমিছল সবাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লজ্জার ব্যাটিং ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। সাকিব শুন্য,তামিম শূন্য,রিশাদ শূন্য রানে বিদায় নেন। দায়িত্ব নিতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

এরপর কেবল তাওহিত হৃদয় ১৪ ও সৌম্যর ব্যাটে আসে কেবল ১০ রান। বাকি সবাই ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেন।  আফগানিস্তানের হয়ে এদিন পিকআপ বোলার ছিলেন দলের অধিনায়ক রশিদ খান। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

তবে ৩.৫ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের জয়ের নায়ক এদিন নাভিন উল হক। ম্যাচের শেষ দুই বলে তাসকিন ও মোস্তাফিজকে আউট করেন তিনি। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন নাভিন উল হক।

নানা নাটকীয়তা ও সমীকরণের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারায় রশিদ খানের আফগানিস্তান। আর এই জয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে আফগাদের প্রতিপক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা।  এর আর এক সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ্য বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

Exit mobile version