আগামী সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপের আগে নিজেদের মাঠে প্রস্তুতিমূলক একটি সিরিজ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভারতের বিপক্ষে পূর্বনির্ধারিত সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায়, বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজে নেমেছে বোর্ড। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে আলোচনায় রয়েছে নেপাল, নেদারল্যান্ডস কিংবা অনুরূপ কোনো দল। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিসিবি।
গত ২৬ জুলাই, এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেছে এসিসি। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টটি, যেটি হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, সামনে থাকা বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে।
আগস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। সবকিছু চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গেছে আগামী বছরে। ফলে এশিয়া কাপের আগে প্রায় দেড় মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচবিহীন সময় পার করবে টাইগাররা।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, এশিয়া কাপের আগে আরও একটি সিরিজ হলে ভালো হতো। তার সেই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মুখেও। আজ শনিবার, মিরপুরে ম্যাচ রেফারিদের একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি জানান:
“আমরা সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে আলাপ চালাচ্ছি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ছিল, সেটাকেই ধরেই পরিকল্পনা করেছিলাম। এখন চেষ্টা করছি অন্য কোনো দেশকে আনার। তবে বড় দলগুলো ব্যস্ত, তাই চেষ্টা করছি নেপাল বা নেদারল্যান্ডসের মতো দলের সঙ্গে সিরিজ করার।”
সিরিজ আয়োজন সম্ভব না হলে বিকল্প পথেও ভাবছে বিসিবি। এ বিষয়ে ফাহিম বলেন:
“যদি বিদেশি কোনো দলকে না পাওয়া যায়, তাহলে জাতীয় দল ও সম্ভাব্য দ্বিতীয় সেরা দলের মধ্যে একটি প্রস্তুতি সিরিজ আয়োজন করব। এতে মূল দলের প্রস্তুতির পাশাপাশি ঘরোয়া খেলোয়াড়রাও ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ পাবে। ভবিষ্যতে এটিকে নিয়মিত রূপ দিতে চাই।”
এ সময় পাশে থাকা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন যুক্ত করেন ঘরোয়া ক্রিকেটকেও আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয়ের কথা:
“যখন কোনো বড় টুর্নামেন্ট সামনে থাকে, তখন আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই ফরম্যাটের প্রতিফলন থাকা দরকার। যেমন এখন সামনে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ, সুতরাং ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি প্রাধান্য পাওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনায় থাকবে বিশ্লেষণ-ভিত্তিক প্রস্তুতি:
“আমরা চাই প্রতিটি সিরিজ বা টুর্নামেন্টের আগে শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি— এ চারটি দিক নিয়েই বিশ্লেষণ হোক। সেই ভিত্তিতে তৈরি হবে পরিকল্পনা, ট্যাকটিক্স ও অনুশীলনের কাঠামো।”
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত বিশ্রামের পর আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















