আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর চলমান বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। সিঙ্গাপুরে আয়োজিত এই বৈঠক চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইতালির ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঐতিহাসিকভাবে কোয়ালিফাই করা আইসিসির এমন ভাবনার অন্যতম অনুপ্রেরণা। আইসিসির মতে, এই অর্জন প্রমাণ করেছে যে ক্রিকেটের প্রসার এখন আর কেবল ঐতিহ্যবাহী দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।
এজন্য ছয় সদস্যের একটি ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করেছে আইসিসি, যার নেতৃত্বে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার রজার টোউজ। এই গ্রুপে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড থেকেও প্রতিনিধি রয়েছে।
২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০টি দল অংশ নিয়েছিল। ২০২৬ সালের আসরেও একই সংখ্যা থাকছে। তবে এরপর থেকেই দলসংখ্যা ৩২-এ উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

যদিও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪ দলের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৪ দলের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রেখেছে আইসিসি। এর আগে দুটি আসরে অংশ নিয়েছিল মাত্র ১০টি দল। যদিও দলসংখ্যা বাড়ছে, তবে নতুন করে আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেই।
এবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় টেস্ট ক্রিকেটের কাঠামো নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। দুই স্তরে বিভক্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তাব বিবেচনা করছে আইসিসি, যেখানে থাকবে উন্নীত হওয়া ও অবনমনের সুযোগ।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহের নেতৃত্বে এই প্রস্তাবে গতি এসেছে। বিশেষ করে গত বছর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার লড়াইয়ে রেকর্ড ৮.৩৭ লাখ দর্শকের উপস্থিতি এই কাঠামোর সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করেছে।
প্রস্তাবিত প্রথম স্তরে থাকবে সাতটি দল—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
অন্যদিকে দ্বিতীয় স্তরে থাকবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে।
এই দুই স্তরের কাঠামোয় রাজস্ব ভাগাভাগি এবং অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোর উন্নয়নে কী ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















