২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বসতে যাচ্ছে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যার আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সেই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবেই পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ।
দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক সেই সিরিজটিকে ত্রিদেশীয় সিরিজে পরিণত করতে আলোচনা চলছে দুই বোর্ডের মধ্যে। তৃতীয় দল হিসেবে এতে যুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায় পাকিস্তান বোর্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত বিসিবি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানা গেছে।
এই সিরিজ নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হতে পারে চলমান এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) বার্ষিক সাধারণ সভায়। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ ও ২৫ জুলাইয়ের মাঝে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সম্ভাব্য এই ত্রিদেশীয় সিরিজ হবে সাত ম্যাচের। প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে, এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আইসিসির বড় টুর্নামেন্টের আগে উপমহাদেশে সিরিজ খেলে প্রস্তুতির রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল তারা। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে শ্রীলঙ্কায় খেলেছিল টেস্ট ও ওয়ানডে।
এদিকে, চলমান পাকিস্তান সিরিজ শেষে এক মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল, কারণ ভারতের সঙ্গে নির্ধারিত সফর পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে বিসিবি, আর তাই বিকল্প প্রস্তুতি হিসেবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজকে দেখছে তারা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














