দশ দিনের মাথায় বিসিবির উপদেষ্টা পদ ছাড়লেন ক্রীড়া সাংবাদিক ও বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি। আজ (মঙ্গলবার, ১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্টে তিনি দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছার কথা জানান এবং নিজে থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
গত মাসের শেষদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা হিসেবে সামির নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তরুণ হলেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি, এবং তার সমসাময়িক ক্রীড়া বিশ্লেষক হিসেবে কনটেন্ট নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া—এই দুটি বিষয় নিয়েই সমালোচনা উঠেছিল।
বিভিন্ন মহল সামির ওপর কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের অভিযোগ তোলে। একদিকে বিসিবির অভ্যন্তরীণ পদ, অন্যদিকে মিডিয়াতে সক্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে তার দ্বৈত ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সামিও তার পদত্যাগ বার্তায় বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি লেখেন, “নোংরা রাজনীতির শিকার হচ্ছি। আমার অবস্থান বিসিবি সভাপতির জন্যও চাপ তৈরি করছে।”
তিনি আরও জানান, তার অবস্থানে থেকে বোর্ড সভাপতির কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এবং সেটা হলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই নিজ উদ্যোগেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামি বলেন, “আমার থাকাটা যেন কারো জন্য অসুবিধার না হয়, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে—ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যন্তরীণ নিয়োগে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের পরিপূর্ণতা কতটা জরুরি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা দক্ষতা ছাড়াও কোনো পদে থেকে দ্বৈত ভূমিকা পালন কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে ক্রিকেট মহলে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














