মিয়ানমারে চলমান নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আফিদা খন্দকার। অথচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এখনো সাবিনা খাতুনকেই জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাবিনা ছাড়াও জাতীয় দলের বাইরে থাকা মাসুরা, কৃষ্ণা, সানজিদা ও সুমাইয়ার নামও ওয়েবসাইটে এখনও জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
এই ঘটনা শুধু তথ্য বিভ্রান্তিই নয়, বরং বাফুফের ডিজিটাল মন্থরতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। একদিকে যেখানে পুরুষ ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের হালনাগাদ প্রোফাইল, ফটোশুট ও তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এমন অনাদর প্রমাণ করে দুয়ের মাঝে স্পষ্ট বৈষম্য।
নারী দল দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষেও তারা লড়াই করছে সম্মানের সঙ্গে। অথচ তাদের জন্য নেই আলাদা ফটোশুট, নেই হালনাগাদ প্রোফাইল। বাফুফের কিট পার্টনার যখন পুরুষ দলের ফটোশুট করছে, তখন নারী দল থেকে যাচ্ছে প্রান্তিকতায়।
যদিও বাফুফের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুটা সচলতা এসেছে, তবে ওয়েবসাইটের হাল ফিরতে সময় লাগছে। সম্প্রতি ফাহাদ করিম, যিনি বাফুফের মার্কেটিং ও ডিজিটাল মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান, জানিয়েছেন—চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ হালনাগাদ আনা হবে।
তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—যে নারী দল দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে, তাদের নিয়ে বাফুফের এই অনীহা কতটা গ্রহণযোগ্য?
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















