ব্রাজিলের প্রধান কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেতে নেইমারকে সামনে থাকা ছয় মাসেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। ঠিক কতটা সুযোগ আছে তার? এই প্রশ্নের উত্তরে আনচেলত্তির সরল জবাব, “বিশ্বকাপে থাকতে পারে এমন তালিকায় নেইমার আছে। সে এখন সুস্থ। এখন বাকি কাজটা তাকে মাঠে দেখাতে হবে।”
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, “ব্রাজিলিয়ান লিগ শেষ হলে সে কিছুদিন ছুটি পাবে। এরপর আবার তাকে দেখাতে হবে তার স্কিল, মান এবং ফিটনেস। চূড়ান্ত দল ঘোষণা করতে আমাদের হাতে ছয় মাস সময় আছে। দলে পরিবর্তন দরকার কি না, তা জানার জন্য নেইমারসহ সবাইকেই আমরা পর্যবেক্ষণে রাখছি। লক্ষ্য একটাই, বিশ্বকাপের সময় দলকে সেরা অবস্থায় নেওয়া।”
আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিল ইতোমধ্যে শৃঙ্খলিত, গুছানো এবং ফলনির্ভর ফুটবল খেলছে। তাই এই দলের জায়গা পেতে হলে নেইমারকে ফিরতে হবে নিজের সেরা ফর্মেই।
তবে দলে থাকলেও শুরুর একাদশ কিন্তু নিশ্চিত নয়। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ইউওএলের প্রতিবেদক থিয়াগো আরান্তেস জানিয়েছেন, আনচেলত্তির কোচিং স্টাফের মধ্যে নেইমারকে “২০২৬ বিশ্বকাপে একজন বদলি খেলোয়াড়” হিসেবে রাখার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরান্তেস বলেন, “ধারণা আছে যে নেইমারকে দলে নেওয়া হতে পারে বিশেষ কোনও ম্যাচ বা বিশেষ মুহূর্তে পার্থক্য গড়ে দিতে। স্টাফরা মনে করেন, এই ভূমিকা তার পক্ষে সম্ভব।”
তবে এই পরিকল্পনার সবচেয়ে কঠিন অংশ হবে নেইমারকে এতে রাজি করানো। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) বিশ্বাস করে, আনচেলত্তির কূটনৈতিক দক্ষতা ও নেতৃত্বই এই সমাধানে পথ দেখাতে পারে। কারণ অফিশিয়াল ম্যাচে নেইমার কখনো বদলি হিসেবে নামেননি। মাত্র পাঁচবার বদলি হিসেবে খেলেছেন, তাও সবই ছিল প্রীতি ম্যাচ।
সিবিএফের ধারণা, নেইমারের মতো তারকাকে একাদশের বাইরে রেখে দলে রাজি করানোর মতো প্রভাব ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা আনচেলত্তির আছে। এখন দেখার বিষয় এই ভাবনাটা বাস্তবে রূপ পায় কি না।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে নেইমারকে ঘিরে ব্রাজিল শিবিরে যে জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে, তার উত্তর মিলবে আগামী ছয় মাসেই।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















