কখনো কখনো ফুটবল মঞ্চ একই দিনে আনন্দ আর আশঙ্কা দুটোই সাজিয়ে দেয়। সান্তোসের হয়ে মৌসুমের শেষ ম্যাচে নেইমার সেই দুই অনুভূতিরই স্বাক্ষী হয়ে উঠলেন। আজ ভোরের ম্যাচে তিনি আলো ছড়ালেন, দলকে জিতিয়ে অবনমন থেকে বাঁচালেন, আর মাঠ ছাড়তেই জানালেন বহুদিন ধরে ভোগা হাঁটুর জন্য তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। বিশ্বকাপের আর মাত্র ছয় মাস বাকী, তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে ব্রাজিল জার্সিতে তার ফেরা নিয়ে।
ম্যাচের আগে সান্তোসের হয়ে ১৫০ ম্যাচ পূর্তিতে নেইমারকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা। স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের সামনে স্মারক গ্রহণের পর মাঠে নেমেও দেখালেন তার পুরনো ছন্দ। প্লেমেকারের ভূমিকা পালন করে দলকে ৩-০ গোলের দাপুটে জয়ে সাহায্য করেন। এই জয়ের মাধ্যমে সান্তোস টানা তিন জয় তুলে নিয়ে অবনমনের শঙ্কা থেকে মুক্ত হয় এবং লিগ শেষ করে দ্বাদশ স্থানে।
শেষ তিন ম্যাচে নেইমার খেলেছেন হাঁটুর ব্যথা নিয়েই। জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাবে ফেরার পর চোটের জন্য সময়টা তার খুব সুখকর ছিল না। তবে শেষ মুহূর্তে দলকে বাঁচাতে তিনি আবারও নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি সেই কঠিন সময়ের কথাই জানালেন।
নেইমার বলেন, আমার জন্য বিগত সপ্তাহগুলি ছিল খুবই কঠিন। যারা আমাকে মনোবল দিয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা না থাকলে এমন চোট নিয়ে ম্যাচ খেলতে পারতাম না। এখন বিশ্রাম দরকার, এরপর আমার হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানো হবে।
কী ধরনের অপারেশন এবং কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্বকাপের আগে অস্ত্রোপচার মানেই বড় অনিশ্চয়তা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে নেই এবং কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগেই বলেছেন, পুরো ফিট হলেই তাকে দলে বিবেচনা করা হবে।
সান্তোসের মাঠ তাই একদিনে দুই গল্প দেখল। একটি ফিরে পাওয়া তারকার আলো। আরেকটি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তা। এখন অপেক্ষা শুধু নেইমারের সুস্থ হয়ে নতুন করে উঠে দাঁড়ানোর মুহূর্তের।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















