অবশেষে আইপিএলের শিরোপার স্বপ্ন পুরোণ কোহলির। ১৮তম আইপিএলে এসে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথমবার আইপিএলের শিরোপার স্বাদ পেলেন ভারতের এই কিংবদন্তি। ক্যারিয়ারে প্রায় সব মেজর শিরোপা জেতা কোহলির অপেক্ষায় ছিলেন আইপিএল শিরোপার জন্য।
হাইভোল্টে ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান তোলে। শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি তারা।
দলীয় ১৮ রানে ওপেনার ফিল সল্টের উইকেট হারায় দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ১৮ বলে ২৪ রান করে আগারওয়ালের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটিও। ৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান করে বেঙ্গালুরু।
অধিনায়ক রজত পাতিদার ১৬ বলে ২৬ রান করে দলীয় ৯৬ রানে আউট হন। ৩৫ বলে ৪৩ রান করে বিরাট কোহলি ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে। কোহলির বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে এসে কিছুটা ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা।
তাকে সঙ্গ দিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। পঞ্চম উইকেটে ১২ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ফুলটস বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লিভিংস্টোন। ১৫ বলে ২৫ রান করে কাইল জেমিসনের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ১০ বলে ২৪ রান করা জিতেশও ফেরেন পরের ওভারে।
শেষ ৩ ওভারে কেবল ২২ রান করতে পারে বেঙ্গালুরু। সেটাও সম্ভব হয়েছে শেফার্ডের ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংসের কল্যাণে। ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন আর্শদীপ সিং। পাঞ্জাবের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং এবং কাইল জেমিসন
জবাবে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তোলে পাঞ্জাব। ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ১৯ বলে ২৪ রান করে হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
এরপর জশ ইংরিশ ঝড় তুলেই বিদায় নেন ২৩ বলে ৩৯ রান করেন এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন। ফলে দলীয় ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এরপর দলীয় ১৪৫ রানে ৭ উইকেটে হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ৭ উইকেটে ১৮৪ রানে থামে পাঞ্জাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে ১৯০/৯
পাঞ্জাব ২০ ওভারে ১৮৪/৭
বেঙ্গালুরু ৬ রানে জয়ী
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















