বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে নাটকীয় অধ্যায় রচনা করেছেন ফরাসি ট্রেইনার খলিল চাকরৌন। গত মৌসুমে ক্লাবের দেনা-পাওনা সংক্রান্ত জটিলতায় ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে তিন দিন আগে আবারও ঢাকায় এসে দ্বিতীয় মেয়াদে কিংসের ট্রেইনারের দায়িত্ব নিলেন খলিল—যা বাংলাদেশের ফুটবলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
ফিফায় অভিযোগ জানিয়ে ফের কোনো বিদেশি কোচ বা ট্রেইনারের বাংলাদেশে কাজ করতে আসার নজির নেই। সেই ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন খলিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
‘আমাদের মধ্যে নতুন চুক্তি হয়েছে। আগের সমস্যার মধ্যস্থতা হয়েছে। তাই আমি আইনজীবীকে ফিফায় অভিযোগ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছি, ফিফাকে সেটি অবহিতও করা হয়েছে।’
খলিলের দাবি ছিল, চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের বেতন ও বোনাস তিনি পাননি। সময়মতো অর্থ না দেওয়ায় ফিফার শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। নতুন চুক্তির পরও নিজের পাওনা পাওয়া নিয়ে আশাবাদী খলিল জানান,
‘আমার পাওনা যে বাকি ছিল, তা সত্যি। নতুন চুক্তিতে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ফলে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।’
গত মৌসুমে রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতের সঙ্গে কাজ করেছিলেন খলিল। এবার কিংস আর্জেন্টাইন কোচ গোমেজকে নিয়ে মাঠে নামছে। নতুন কোচ ও খেলোয়াড়দের নিয়ে খলিলের মন্তব্য,
‘আমি পেশাদার ট্রেইনার হিসেবে পর্তুগিজ, রোমানিয়াসহ অনেক দেশের কোচের সঙ্গে কাজ করেছি। আর্জেন্টাইন কোচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনো অসুবিধা হবে না। ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে বিস্তারিত জানাতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।’
তবে খলিল একা নন, কিংসের সাবেক হেড কোচ ভ্যালেরি তিতেও ফিফায় অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিফা কিংসের ওপর দলবদলের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। খলিল অভিযোগ প্রত্যাহার করলেও তিতের মামলা বহাল রয়েছে। ফলে এখনো ফিফার ওয়েবসাইটে বসুন্ধরা কিংসের দলবদলের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















