আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি হিসেবে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচেই পাকিস্তানকে ৭৮ রানে হারিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের নিউজিল্যান্ড। এদিন কিউইদের দেয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল থামে ২৫২ রানে।
তবে এ ম্যাচে চোট হানা দিয়েছে দুই দলেই। ইনিংসের সপ্তম ওভার চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েন পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ। চোটের কারণে পরে আর ব্যাটিংয়ে নামেননি পাকিস্তানের এই গতিময় পেসার।
ফিল্ডিংয়ের সময় ফ্লাইডলাইটের আলোয় বল হারিয়ে ফেলেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রাচিন রাভিন্দ্রা। সেটি এসে লাগে তার কপালে। তখন কিছুক্ষণ মাটিতে শুয়ে থাকার পর ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন নিউজিল্যান্ডের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুই দলের দুই তারকার চোট উদ্বেগের। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং পাকিস্তানের কপালে ভাঁজ ফেলতে পারে।
লাহোরে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির শুরুর ওভারেই ক্যাচ দিয়ে ৪ রানে ফেরেন উইল ইয়াং।
ঝড় তোলা এক ওপেনার রাচিনকে বেশি দূর যেতে দেননি আবরার আহমেদ। ইনিংসের অস্টম ওভারে ১৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করে ফেরেন। ৩৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রতিরোধ গড়ে কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের জুটিতে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে সহজাত ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকেন উইলিয়ামসন। আরেক প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন মিচেল। অবশেষে দলীয় ১৩৪ রানে এ জুটিতে আঘাত হানেন আফ্রিদি। ৮৯ বলে ৭ চারে বলে ৫৮ রান করে বিদায় নেন উইলিয়ামস। ভাঙে ৯৫ রানের জুটি। পরের ওভারে শূন্য রানেই টম ল্যাথামকে ফেরান রউফ।
২৮তম ওভার শেষে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১৩৫। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন ফিলিপস। প্রথমে তাকে সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল। তবে দলীয় ২০০ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। ৮৪ বলে দুই বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় ৮১ রান ফেরেন। ভাঙে ৬৫ রানের জুটি।
এরপর মাইকেল ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়া ফিলিপস ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন। মাইকেল ২৩ বলে ৩১ রান করে বিদায় নেন দলীয় ২৫৪ রানে। শেষ দিকে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে ২৬ বলে ৭৬ রানের তান্ডব চালায় ফিলিপস। শেষ পর্যন্ত ৭৪ বলে ছয় বাউন্ডারি ও সাত ছক্কায় অপরাজিত ১০৬ রান করেন তিনি। আর অধিনায়ক ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে আফ্রিদি ১০ ওভারে ৮৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর ১০ ওভারে ৭০ রানে উইকেটশূন্য নাসিম শাহ। আবরার আহমেদ ১০ ওভারে ৪১ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাবে ফাখারের ফেরার ম্যাচে ব্যর্থ পাকিস্তানের টপঅর্ডার। একে একে বিদায় নেন বাবর আজম ১০, কামরান গুলাম ১৮ ও অধিনায়ক রিজওয়ান ৩ রান করে বিদায় নেন। এসময় পাকিস্তানকে একাই টানেন ফাখার। মন্থর ব্যাটিংয়ে ফাখার থামেন ২৪তম ওভারে।
৬৯ বলে সাত বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় ৮৪ রান করে ফিলিপসের বলে তিনি এলবিডব্লিউ শিকার। এরপর সালমান আগা ৪০ ও তৈয়ব তাহির ৩০ রান করেন। এছাড়া আর কেউ কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৭.৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
বল হাতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরি তিনটি করে উইকেট নেন। ত্রিদেশীয় সিরিজের সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















