বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারীদের বিপক্ষে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার চার বলে ১০৪ গুটিয়ে যায় টিম টাইগার্স
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ম্যাচের শুরুতেই আসলে ছিটকে যায়। দলীয় ২৫ পাঁচ উইকেটে হারায় লিটন দাসের দল। এদিন বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানই পাকিস্তানের বিপক্ষে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেননি। একমাত্র মোহাম্মদ নাঈম টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ রান করেছেন।
অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এদিন পাকিস্তানের সাতজন বোলার হাত ঘুরিয়েছেন। সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন সালমান মির্জা। চার ওভারে তিনি দিয়েছেন ১৯ রান। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। ফাহিম আশরাফ ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অন্যদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজ ১.৪ ওভারে চার রানে নিয়েছেন দুই উইকেট।
এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন আহমেদ দানিয়েল, সালমান আঘা ও হোসাইন তালাত।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচে ১১০ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তান তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড় করালো ১৭৮ রানের বড় স্কোর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে ৮২ রানের উদ্বোধনী জু’টি পায় বাংলাদেশ শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুবের ব্যাটে। এদিন উভয়ে ছিলেন বেশ মারমুখী। তবে ১৫ বলে ২১ রান করা সাইম আইয়ুবকে আউট করার পর ৪১ বলে ৬৩ রান করা শাহিবজাদা ফারহানের উইকেটও তুলে নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
দলীয় ৯৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত ১৭৮ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।হাসানের ব্যাটে এসেছে ১৭ বলে ৩৩ রান। আর মোহাম্মদ নেওয়াজ, যার ব্যাটে এসেছে ২৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
শুরুতে বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দিলেও চার ওভারে বাইশ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে নাসিম আহমেদকে। এদিন বাংলাদেশের পক্ষে চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার যথাক্রমে শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে। এই ম্যাচে জয় পেলে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে। যা হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য অনন্য এক অর্জন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














