ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দীর্ঘ অধ্যায়কে পেছনে ফেলে এবার নতুন অভিযানে নামলেন মার্কাস রাশফোর্ড। এক মৌসুমের ধারে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড। চুক্তিতে রয়েছে ২০২৬ সালে ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরোতে স্থায়ীভাবে দলটিতে যোগ দেওয়ার অপশনও।
ইউনাইটেডের হয়ে ২০১৬ সাল থেকে ৪২৬ ম্যাচে ১৩৮ গোল করেছেন তিনি, জিতেছেন পাঁচটি বড় শিরোপা। ক্লাবটির সর্বকালের গোলদাতাদের তালিকায় আছেন ১৫ নম্বরে।
তবে গত মৌসুমটা ছিল রাশফোর্ডের জন্য হতাশার। আগের মৌসুমে যেখানে করেছিলেন ৩০ গোল, সেখানে ২০২৩–২৪ মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে গোল মাত্র ৮টি। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তিনবার পেয়েছেন ডিসিপ্লিন শাস্তিও।
বিষয়টা আরও খারাপ দিকে মোড় নেয় ১৫ ডিসেম্বর, ম্যানচেস্টার ডার্বিতে রুবেন আমোরিম তাকে স্কোয়াড থেকেই বাদ দেন। পরে জানুয়ারিতে ধারে যান অ্যাস্টন ভিলায়। সেখান থেকে জাতীয় দলে ফিরলেও ইউনাইটেডে নিজের জায়গা আর ফিরে পাননি।
লোনে বার্সায় যাওয়ার এই চুক্তির আওতায় বার্সা রাশফোর্ডের পুরো বেতনই বহন করবে, যদিও তিনি নিজে বেতন কম নিতে সম্মত হয়েছেন। ইউনাইটেডের বেতন তালিকা থেকে রাশফোর্ড সরে গিয়ে ক্লাবটির বছরে প্রায় ১৪–১৫ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে।
রাশফোর্ড বার্সেলোনার ইতিহাসে দ্বিতীয় ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে নাম লেখালেন, গ্যারি লিনেকারের ১৯৮৬ সালের পর প্রথম। যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশফোর্ড বলেন,
‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। বার্সেলোনা এমন একটি জায়গা, যেখানে স্বপ্ন পূরণ হয়। বড় ট্রফি জেতা যায়। এই ক্লাবের মূল্যবোধ আমার হৃদয়ের কাছাকাছি। এখানে নিজেকে ঘরের ছেলে মনে হচ্ছে।’
হান্সি ফ্লিকের সঙ্গে কথাবার্তাও রাশফোর্ডকে অনুপ্রাণিত করেছে,
‘ফ্লিকের সঙ্গে আমার আলোচনা দারুণ ইতিবাচক ছিল। তিনি তরুণদের নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত, এবারও তিনি ভালো কিছু করতে চাইছেন। এটাই বুঝিয়ে দেয় বার্সার উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাত্রা।’
রাশফোর্ড আরও যোগ করেন, ‘আমি বার্সেলোনার ফুটবল দর্শন শিখতে মুখিয়ে আছি।’
ইতোমধ্যেই নতুন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন রাশফোর্ড। জাপান সফরের দলে থাকা তার প্রায় নিশ্চিত বলেই জানা গেছে।
ফলে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাশফোর্ড। পাঁচজন বিদায়প্রত্যাশীর একজন হিসেবে তাকে আলাদাভাবে অনুশীলন করানো হয়।
তবে বিদায়বেলায় কোনো তিক্ততা নেই রাশফোর্ডের কণ্ঠে, ‘ইউনাইটেড আমার জীবনের অনেক বড় অংশ। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বলার মতো কোনো নেতিবাচক কিছু নেই।’
বার্সায় তার লক্ষ্য স্পষ্ট, ‘আমি সবচেয়ে বড় ট্রফিগুলো জিততে চাই। বার্সেলোনা সেই জায়গা—তরুণ, প্রতিভাবান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি দল। আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে অবদান রাখতে চাই। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা আমার স্বপ্ন।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩














