হাই স্কোরিং ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে আট ম্যাচে ষষ্ঠ জয় তুুলে নিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল রংপুর রাইডার্স। রংপুরের ৩ উইকেটে করা ২১১ রানের জবাবে, ৬ উইকেটে ১৫৮ তুলেছে চট্টগ্রাম। ফলে ৫৩ রানের হার নিয়ে চট্টগ্রামও টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে এবার প্রথমবারের মতো দু’শ পেরুনো স্কোর দেখলেন দর্শকরা। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২১১ রানের স্কোর গড়লেন রংপুর রাইডার্সের ব্যাটাররা। বড় স্কোর তাড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে একমাত্র সৈকত আলী ছাড়া আর কোন ব্যাটারই বড় স্কোর করতে পারেন নি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বড় স্কোরের পথে এগিয়ে যায় রংপুর। উদ্বোধনী জুটিতে রনি তালুকদারের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার রিজা হেনড্রিক্সসের মারমুখি ব্যাটিং ৬ ওভার চার বলেই ৬১ রান তুলে নেয় রংপুর। সপ্তম ওভারের ৫ম বলে ২৪ রান করা রনি আউট হলে ওয়ানডাউনে খেলতে নামা সাকিবও হাত খুলে খেলতে থাকেন।

১৬ বলে ২৭ রান করে সাকিব আউট হওয়ার পর দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে হেনড্রিক্সস ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫৮ রানে। তেরতম ওভারের তৃতীয় বলে ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর ঝড় বইরে দেন নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম।
২৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কিউই ব্যাটার। সঙ্গী অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ছিলেন। তার ব্যাটে ২১ বলে ৩১ রান।
জবাবে, খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারেই সাকিব আল হাসানের বলে ফিরে যান চট্টগ্রামের অস্ট্রেলিয়ান রিক্রুট জশ ব্রাউন। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডের টম ব্রুসও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যাওয়া চট্টগ্রাম আর খেলায় ফিরতে পারেনি। একপ্রান্ত আগলে সৈতক দলের পক্ষে ৬৩ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। রান আউট হয়েছেন ১৯তম ওভারের প্রথম বলে।
রংপুরের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও নিশাম।
হাফ সেঞ্চুরির পর দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জেমস নিশাম।