চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ একটা সহজ সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিলো স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খুলনা টাইগার্সকে হারাতে পারলেই তাঁরা জায়গা করে নিতো শীর্ষ চারে। অন্যদিকে খুলনাকেও আজকের ম্যাচটা জিততেই হতো। তাঁদের অবশ্য জিততে হতো নিজেদের শেষ ম্যাচটাও। এমন সমীকরণে খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জায়গা করে নিয়েছে টুর্নামেন্টের প্লে-অফে।
বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ডেব্যুটান্ট মোহাম্মদ ওয়াসিমকে নিয়ে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম। ওয়াসিম মাত্র এক রান করে সাজঘরে ফেরার পর দলের জন্য রান করার দায়িত্বটা নিজ কাঁধে নিয়ে নেন তামিম।
১১৬ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তামিম। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার ইনিংসে ছিলো ৮টি ছয় আর ৮টি চার।
আজ তামিমকে আটকাতে পারেননি কেউই। প্রথম ১০ বলে ১০ রান করা তামিম সময়ের সাথে সাথে হয়ে উঠেছেন বিধ্বংসী। মাত্র ৫৮ বলেই নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
তবে শুধু সেঞ্চুরিতেই থেমে থাকেননি তিনি। চলতি বিপিএলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। আজ তিনি ছাড়িয়ে গেছেন চলতি আসরের বাকী দুই সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় ও উইল জ্যাকসের ১০৮ রানের ইনিংস। বিপিএলে চট্টগ্রামের মাঠে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
শেষ পর্যন্ত খুলনা টাইগার্সের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৩ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বেশ দেখে শুনেই খেলেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তবে তাঁর করা ২৪ বলে ৩৫ রানটাই আজকের স্কোরকার্ডে খুলনার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। পুরো ইনিংস জুড়েই বাকী ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে।
স্বাগতিকদের হয়ে বল হাতে এদিন সবচেয়ে সফল ছিলেন দলপতি শুভাগত হোম। ২৫ রান দিয়ে খুলনার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি।