মিরপুরে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ উইকেটের বড় জয়ে মাঠ ছাড়লেও ফলাফলের চেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে উইকেটের আচরণ। খেলার পরে উইকেটের ধরন আর আচরন নিয়ে সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানি কোচ মাইক হেসন
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে তারা। মাত্র ৪৬ রানে নেই ৫ উইকেট। পুরো ইনিংসে শুধুমাত্র ফখর জামান কিছুটা লড়াই করেন, ৩৪ বলে করেন ৪৪ রান। জবাবে ১১১ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে হেসে খেলে এই রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের ঠিক আগের দিনই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে প্রকাশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের উইকেটে খেলে অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই যেন সেটি সত্যি হয়ে ধরা দিল।

দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারণে বল ব্যাটে ভালোভাবে আসতে শুরু করে, যার ফলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পক্ষে রান তাড়া করা সহজ হয়ে যায়। তবে পাকিস্তান কোচ মাইক হেসনের মতে, ম্যাচের ফলের বাইরেও সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে উইকেটের মান। তার মতে, এমন উইকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হেসন বলেন, “আমি মনে করি না এই উইকেট কেউই পছন্দ করবে। যদি কেউ এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে চায়, তবে এই উইকেট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা জরুরি, নাহলে সেটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
হেসন আরও বলেন, “আমি কাউকে শেখাতে আসিনি যে তারা কীভাবে মাঠ পরিচালনা করবে। তবে যদি কেউ সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটের উন্নতি চায়, তাহলে ভালো মানের পিচ তৈরি করতে হবে। আমরা বিপিএলে কিছু ভালো উইকেট দেখেছি, কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেই মানের দেখা নেই।”
উল্লেখ্য, এই একই মিরপুরে বাংলাদেশ অতীতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। সামনে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট থাকায়, এমন উইকেট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন পাকিস্তান কোচ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















