২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বসবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয়। ৪৮ দলের এই টুর্নামেন্টে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইরান। তবে সাম্প্রতিক ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি ইরান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে পারবে?
টানা ১২ দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতির পর আপাতত স্বস্তি ফিরেছে মধ্যপ্রাচ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি। কিন্তু ফুটবল দুনিয়ায় ততটা স্বস্তি নেই। কারণ, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দেশকে রাজনৈতিক কারণে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই, আবার যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ।
তবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ ছাড় রাখা হয়েছে। ফলে ভিসা পাওয়া নিয়ে বড় সংকট দেখা না দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিষয়ের জটিলতা থাকছেই।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে—ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ পায়, তখন কী হবে? ধারণা করা হচ্ছে, ফিফা ড্র প্রক্রিয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে পারে। যদি ইরান ‘গ্রুপ এ’-তে পড়ে, তবে তাদের সব ম্যাচ মেক্সিকোতেই হতে পারে। এমনকি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও শেষ ষোল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া এড়ানো সম্ভব। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে হবেই।
ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ডিসেম্বরের গ্রুপ ড্রয়ের আগেই ফিফা, ট্রাম্প প্রশাসন ও আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফুটবল মাঠের চেয়ে এবার যেন কূটনীতির ময়দানেই বড় লড়াই অপেক্ষা করছে—ইরান খেলবে কি খেলবে না, তার উত্তর নির্ভর করছে মাঠের বাইরের সমীকরণের ওপর।
