২০২৬ সালের ফিনালিসিমা ঘিরে ফুটবল বিশ্বের উত্তেজনা তুঙ্গে। কোপা আমেরিকা ও ইউরো জয়ীদের মধ্যকার এই বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী ১৭ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে। যদিও এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি, তবে উরুগুয়ের ঐতিহাসিক সেন্টেনারিও স্টেডিয়াম আয়োজনের দৌড়ে জোরালোভাবে এগিয়ে গেছে।
শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং সৌদি আরবকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, শেষ মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে উরুগুয়ে। টিওয়াইসি স্পোর্টস জানায়, দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ইতোমধ্যেই ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ জানিয়েছে এবং প্রস্তুতিও শুরু করেছে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের ভেন্যু ছিল মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়াম। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে সংস্কারের পূর্বমুহূর্তে সম্ভবত এটিই হতে পারে স্টেডিয়ামের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফলে অনেকেই মনে করছেন, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণ হতে পারে এই ফিনালিসিমা।

২০২২ সালে ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফিনালিসিমায় ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার তারা শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইউরোর নতুন চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে।
২০২৪ সালের মে মাসে প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে ফিফার ৭৫তম কংগ্রেসে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রাফায়েল লাউজানের মধ্যে এই ম্যাচ আয়োজনে সমঝোতা হয়। সেই থেকেই ফিনালিসিমার আয়োজন এগিয়ে যাচ্ছে বাস্তবতার পথে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, উরুগুয়ের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে আয়োজনের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখছে না। পুরো ফুটবল বিশ্ব অপেক্ষায় আছে মেসি আর তার ফ্যানবয় লামিনের মধ্যকার এই ম্যাচের। ম্যাচ মাঠে গড়াবার অনেক আগে থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের ফিনালিসিমা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















